ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পাঁচ সিটিতে নির্বাচনপূর্ব সময়ে নতুন প্রকল্প অনুমোদন নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
পাঁচ সিটিতে নির্বাচনপূর্ব সময়ে নতুন প্রকল্প অনুমোদন নয়

ঢাকা: আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনপূর্ব সময়ে ভোটের এলাকায় নতুন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া প্রকল্পের ঘোষণা, ফলক উন্মোচনও করা যাবে না।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময়ে (তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত) সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার জন্য কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না।

এ ছাড়া নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবে না।

আচরণ বিধিমালার সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অর্থ প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাহাদের সমপদমর্যাদার কোন ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে।

এদিকে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা দিতে পারবেন না।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বর্তমানে গাজীপুর সিটি ভোটের মনোনয়নপত্র বাছাই রোববার শেষে আপিল কার্যক্রম চলছে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে। প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। অর্থাৎ এই সিটিতে প্রচার চালানো যাবে ৯ মে থেকে।

খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের শেষ সময় ২১ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ২৪ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২৬ মে ও ভোট ১২ জুন। এই দুই সিটি নির্বাচনে ২৬ মে থেকে প্রচার চালানো যাবে।

আর রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পত্তির শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন ও ভোট ২১ জুন। এই দুই সিটি ভোটে প্রচার চালানো যাবে ২ জুন থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।