ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তথ্য গোপনে ভোটের পর ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার নেই ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
তথ্য গোপনে ভোটের পর ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার নেই ইসির

ঢাকা: হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা তথ্য গোপন করে কেউ নির্বাচিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবে।

 

রোববার (১৫ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ কথা বলেন।  

একজন সংসদ সদস্য (এমপি) নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন, যা তিনি নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি। গণমাধ্যমে এমন খবর এসেছে আপনাদের অবস্থান কি এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, হলফনামা আমাদের একটা জমা দেবে। কিন্তু সেই হলফনামার সত্য-অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে আইনে আমাদের কোনো কিছু করার ভিত্তি নেই। হলফনামা যেটা দেবে সে তথ্য জাতিকে জানানোর দায়িত্ব। যদি কারো দুর্নীতিমূলক কিছু থাকে। দুদক দেখবে। তারা মামলা করবে। রাজস্ব বোর্ড, এনবিআর মামলা করতে পারবে। পরে আইনে যেটা আছে সেই আইন অনুযায়ী হবে।  

আরেক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, উনি (প্রার্থী) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। উনার ভোটারদের জানিয়েছেন ওনার নাম কি, শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, কী সম্পদ আছে। আমাদের এখানে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেই।  

অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, দ্বৈত নাগরিকরা সংসদ ভোটে অংশ নিতে পারবেন না। দুই দেশের নাগরিকরা পারবেন না। বাংলাদেশ নাগরিকত্ব দেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা দেখবে। তারপর তারা আমাদের বললে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।  

তিনি আরও বলেন, প্রার্থী ভুল তথ্য দিলে সে কোয়ালিফাইড হবে না। তবে যদি নির্বাচিত হয়ে যান, কেউ যদি চ্যালেঞ্জ না করে এখন উনি নির্বাচিত হয়ে গেছেন। উনি ভুল তথ্য দিয়েছেন এটা বললে হবে না। প্রমাণ করাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার পর যখন আমাদের কাছে পাঠাবেন তখন ব্যবস্থা নেব।  

এটা কী কমিশনের আইনি সীমাবদ্ধতা এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, সীমাবদ্ধতা নয়। উনি হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নমিনেশন সাবমিটের আগে জানালে ব্যবস্থা নেব। হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ের আগে দিলে আমরা দেখবো। মিথ্যা তথ্য মানেই প্রতারণা। প্রতারণার মামলা আছে আলাদা। আদালত শাস্তি দিয়ে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব।  

সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক-অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট বা ওসিসিআরপি- এর ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। পরে পাঁচ বছরে নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের সম্পত্তির মালিক হন। তিনি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি ওই সম্পদের তথ্য উল্লেখ করেননি বলে অভিযোগ তোলা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।