ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘সব প্রাণীর বিশুদ্ধ পানি পানের অধিকার আছে’

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১২

ঢাকা : ‘নদী ও পানি সংরক্ষণ’ শীর্ষক পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চলের পানিই এখন পান  ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ বিশ্বে মানুষসহ সব প্রাণীর বিশুদ্ধ পানি পানের অধিকার আছে।

সুপেয় পানির বড়ই অভাব দেখা দিয়েছে। মানব জীবনের এ প্রয়োজনীয় উপাদানটি ছাড়া জীবনের কল্পনা করা যায় না।

বৃহস্পতিবার বিকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের গ্রিনবেল্ট ট্রাস্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠিত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজি মতিন উদ্দিন আহমেদ।

জবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফরিদা আখতার খাননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্বের অধের্ক নদ-নদী কলুষিত। সুপেয় পানির বড়ই অভাব দেখা দিয়েছে। মানব জীবনের এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদানটি ছাড়া জীবনের কল্পনা করা যায় না।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর সব নদ-নদী-সাগর-উপসাগর ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চারদিকে পানি থাকলেও বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে। তাই আমাদের পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হতে হবে। ’

ভারতে ন্যাচার হিউম্যান সেন্ট্রিক পিপলস মুভমেন্টের সদস্য সচিব মনিরাম পুনিয়া বলেন, ‘পৃথিবীর অধিকাংশ অঞ্চলের পানিই এখন পানের ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমনকি ভারতে পবিত্র গঙ্গা নদীও দুর্গন্ধ হয়ে গেছে।

মানুষসহ সব প্রাণীর বিশুদ্ধ পানি পানের অধিকার রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এ পরিষ্কার পানি শুধু বোতলজাত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। আমরা ভারত, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের নাগরকি নই, সারা বিশ্বের নাগরিক। তাই বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। ’

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী পাকিস্তানি তরুণ সালমান ফাহাদ বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তরুণরা রাজনৈতিক নেতাদের কাছে পদক্ষেপের দাবি জানাতে পারে। এছাড়াও নির্বাচনে ইশতিহারে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিবেশের বিষয়টি গুরত্বসহকারে পড়ালে এবং শিক্ষিত লোকেরা এ কাজে সচেতনতা দেখালে অন্যরাও প্রভাবিত হবে। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মাদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘মানুষের জীবন বাঁচিয়ে রাখে যে পানি সেই পানিকে সুপেয় রাখার জন্য আমাদের সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সব প্রাণীই এতে রক্ষা পাবে। ’

আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাবুবা নাসরিন বলেন, ‘পরিবেশ বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে পানিও দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার গুরত্বপূর্ণ উপাদান পানিকে বিশুদ্ধ করার দায়িত্ব আমাদের সবার। ’

এছাড়াও সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বক্তারা নদী ও পানি সংরক্ষণ বিষয়ে প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় বিভাগীয় শিক্ষক  ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময় : ০৯২৪ ঘন্টা, মার্চ ৯, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।