ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ শতাংশ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হার ১৮.৮ শতাংশ  ছবি: সংগৃহীত

নাটোর: দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জনের পরও দারিদ্রতা, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে এখনও অনেক শিশু স্কুলের বাইরে রয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার হার ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ার হার প্রায় ২ শতাংশ।

তাই সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ বিদ্যালয় বহির্ভূত শিক্ষার্থীদের আগামী তিন বছরে শিখন কেন্দ্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে তৈরি করা হবে। আর এই ধারাবািহকতায় নাটোরের পাঁচটি উপজেলায় মোট সাড়ে তিনশ’ শিখন কেন্দ্রে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। নাটোরে ঝরে পড়া শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় 'আউট অব স্কুল চিলড্রেন কার্যক্রম' বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালার আয়োজন করে নাটোর উপ আনুষ্ঠানিক ব্যুরো। এতে সহায়তা করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা 'আলো'। জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন।  

কর্মশালায় 'আলো'র নির্বাহী পরিচালক শামীমা লাইজু নীলার উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর বাস্তবায়নাধীন আ'উট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রাম' বাস্তবায়ন পরিকল্পনা অবহিত করা হয়।  

এতে বলা হয়, নাটোরের পাঁচটি উপজেলাসহ দেশের ৩৪৫টি উপজেলা এবং সকল সিটি কর্পোরেশনসহ ১৫টি শহর এলাকার নির্বাচিত উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শিখন কেন্দ্র কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রতিদিন এসব শিখন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের তিন ঘন্টা করে পাঠদান করা হবে। প্রতিটি শিখন কেন্দ্রে ৩০ জন করে শিক্ষার্থীর সকলেই সিটি কর্পোরেশন এলাকাতে মাসে ৩০০ টাকা করে এবং গ্রাম এলাকাতে মাসে ১২০ টাকা করে উপবৃত্তি পাবে।  

কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাদিম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম রমজান, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক মোহা. জালালুম বাঈদ, এম কে অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, প্রফেসর অলোক মৈত্র, পিকেএসএস এর নির্বাহী পরিচালক ডেইজি আহমেদ প্রমুখ।  

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে দেশের সকল জনগোষ্ঠিকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্যে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।