ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাতীয় পতাকা বিকৃতি: বেরোবিতে তদন্ত কমিটি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
জাতীয় পতাকা বিকৃতি: বেরোবিতে তদন্ত কমিটি 

রংপুর: মহান বিজয় দিবসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) জাতীয় পতাকা বিকৃত করার ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে গঠিত কমিটি।  

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।


  
জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী, সদস্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার জিন্নাহ আল মামুন এবং মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন। তারা ঘটনাস্থল স্বাধীনতা স্মারক পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আতিয়ার রহমানের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রশাসনিক ভবনে তার দপ্তরে যান। সেখানে আরও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর ও তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের কি কি কর্মসূচি ছিলো, সেসব কর্মসূচির কপি সংগ্রহ করেছি। শনিবার অভিযোগকারীসহ অন্যান্যের সঙ্গে কথা বলবো। এছাড়া তদন্তের প্রয়োজনে আর যা যা করণীয় তা করা হবে।

এদিকে জাতীয় পতাকা বিকৃত করে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহসহ ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় জাতীয় পতাকার বিকৃতি ও অবমাননার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুল হক এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান লিখিত এজাহার দায়ের করেন।  

এতে অভিযোগ করা হয়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে জাতীয় পতাকার নকশা পরিবর্তন করে সবুজের ভেতর লাল বৃত্তের পরিবর্তে চারকোণা লাল আকৃতির পতাকা নিয়ে ফটোসেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক। এতে সংবিধানের ৪(২) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে জাতীয় পতাকা মেঝেতে ও পায়ের নিচে স্পর্শ করে ছবি তুলে প্রকাশ করেছেন, যা সংবিধানের ৭(ক) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রদোহিতার অপরাধ করেছেন। এতে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের হুকুমের আসামি হিসেবে উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে দায়ী করা হয়। অপর আসামিরা হলেন- শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান, সিন্ডিকেট সদস্য ও গণিত বিভাগের প্রধান হাফিজুর রহমান সেলিম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পরিমল চন্দ্র বর্মণ, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মাসুদুল হক, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক সোহাগ আলী ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রহমতুল্লাহ।  

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেরোবি ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান আরিফ নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও আট/১০ জনের নামে লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এ বিষয়ে তাজহাট থানার ওসি আখতারুজ্জামান বলেন, দু’টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ, তাই প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানোর কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।