ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে সব নিয়োগ স্থগিত রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
রাবিতে সব নিয়োগ স্থগিত রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়) নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি গত বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতকরণ'- শিরোনামে চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্দেশ্যে বলা হয়, প্রশাসনিক কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এই চিঠির অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর একান্ত সচিবকে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বাংলানিউজকে বলেন, নিয়োগ বন্ধ রাখা সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি এসেছে বলে জেনেছি। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছেছে।

এর আগে, চলতি বছরের গত ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সংবলিত ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) দাখিল করেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশ। পরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অভিযোগসমূহ তদন্তে ইউজিসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের বক্তব্য উপস্থাপনে উন্মুক্ত শুনানির আয়োজন করে।

তদন্ত কার্যক্রম শেষে গত ২১ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ইউজিসি। তদন্তে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যদের বিরুদ্ধে ২৫টি অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।  

ইউজিসির তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসায় সরকারি সিদ্ধান্তের আগপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সব নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।