ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে সুবর্ণ জয়ন্তীর কাউন্টডাউন শুরু

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
জাবিতে সুবর্ণ জয়ন্তীর কাউন্টডাউন শুরু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে দিনগণনা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় কাউন্টডাউন ঘড়ির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।

অনলাইনে জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী ভাষণে উপাচার্য বলেন, আমাদের আশা ছিলো আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান খুবই আড়ম্বরভাবে পালন করবো। কিন্তু করোনাকালীন দুঃসময়ে আমরা হয়তো সেভাবে তা করতে পারবো না।

তবুও আমরা আগামী ১২ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছরের সুবর্ণ অর্জনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আন্তরিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। সেই অনুষ্ঠানে আমাদের প্রাণের পরশ থাকবে। আজকের বাস্তবতায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নেই। এই ধরনের বিপুল আয়োজন তাদের ছাড়া প্রাণহীন হয়ে যায়। আমরা তাদের কথা বিবেচনায় রেখে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো।

ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহামদ আলমগীর কবীরের পরিচালনায় সুবর্ণ জয়ন্তীর কাউন্টডাউন অনুষ্ঠানে (জুম মিটিংয়ে) আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি, রেজিস্ট্রা (ভারপ্রাপ্ত), সিনেট-সিন্ডিকেটের সদস্যরা, হল প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে এটির নতুন নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা শহরের মুঘল আমলের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর’ থেকে এই নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম নৃবিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশের একমাত্র প্রত্নতত্ত্ব বিভাগও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুরুতে দুইটি অনুষদ নিয়ে যাত্রা করলেও পরের বছর কলা ও মানবিকী অনুষদ খোলা হয়। প্রথম ব্যাচে ১৫০ জন ছাত্র নিয়ে ৪টি বিভাগ চালু হয়। বিভাগগুলো হচ্ছে অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত এবং পরিসংখ্যান।

নান্দনিক সৌন্দর্যের আধার খ্যাত ক্যাম্পসটি ঢাকার অদূরে সাভার এলাকায় ৬৯৭.৫৬ একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। ১৯৭০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও সম্পূর্ণরূপে এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭২ সালে।

১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন। তার আগে ১৯৭০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হন অধ্যাপক মফিজ উদ্দিন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রখ্যাত কবি সৈয়দ আলী আহসান, লোকসাহিত্যবিদ মজহারুল ইসলাম, লেখক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, আ ফ ম কামালউদ্দিন, আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ আব্দুল বায়েস, আলাউদ্দিন আহমেদ, খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান প্রমুখ।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন অধ্যাপক সুনীল কুমার মুখোপাধ্যায়, লেখক হায়াত‍ মামুদ, লেখক হুমায়ুন আজাদ, নাট্যকার সেলিম আল দীন, কবি মোহাম্মদ রফিক (সদ্য অবসরপ্রাপ্ত), অধ্যাপক মুস্তাফা নূরুল ইসলাম, আবু রুশদ মতিনউদ্দিন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, ইতিহাসবিদ বজলুর রহমান খান, অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আনু মুহাম্মদ প্রমুখ।

বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও মানবিকী, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক, সমাজ বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও আইন অনুষদ এবং ৪টি ইনস্টিটিউট রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।