ঢাকা, বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির শিখনফল মূল্যায়ন যেভাবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির শিখনফল মূল্যায়ন যেভাবে

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিখনফল কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
 
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনফল মূল্যায়নের জন্য পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির আলোকে মাউশি শনিবার (৩১ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।


 
এতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে তিনটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে। নির্ধারিত বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়া, মূল্যায়ন, পরীক্ষকের মন্তব্যসহ সেটি শিক্ষার্থীকে দেখানো এবং প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের কাজ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
 
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সরকার প্রথাগতভাবে বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে এতে বলা হয়েছে, অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল মূল্যায়ন করা হবে।
 
পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে, সেটা বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারিত কাজ প্রণয়ন করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ওই সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্টগুলো দিয়ে দেওয়া হবে। সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নতুন কাজ বুঝে নেবে। অ্যাসাইনমেন্ট অভিভাবক বা অন্য কারও মাধ্যমে বা অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে।
 
অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
 
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের এটি সাদা কাগজে নিজের হাতে অ্যাসাইনমেন্ট লিখে জমা দিতে হবে। অভিভাবক বা তার প্রতিনিধি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতি সপ্তাহে একদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবেন এবং তা জমা দেবেন।
 
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কিশোর বাতায়নের মতো কিছু প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল ক্লাসগুলোকে এমনভাবে আপলোড করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা দেশের যে কোনো জায়গা থেকে ক্লাসগুলো দেখতে পায়। কিন্তু অনেকে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এ কারণে তাদের পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিখনফলের দুর্বলতা চিহ্নিত করে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
শিখনফল মূল্যায়ন নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠান প্রধান, অভিভাবক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা আলাদা নির্দেশনা জারি করেছে অধিদপ্তর।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।