ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অনশনে অসুস্থ ১২ শিক্ষার্থী, চার শিক্ষকের সংহতি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
অনশনে অসুস্থ ১২ শিক্ষার্থী, চার শিক্ষকের সংহতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন পেছানোর দাবিতে অনশরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। 

এদিকে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অবস্থান করে সংহতি প্রকাশ করেছেন।  

সংহতি জানানো শিক্ষকরা হলেন- আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ মণ্ডল, গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষক নেপাল চন্দ্র রায়, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান মুকুল কুমার বাড়ৈ এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দীন।

এদিন আন্দোলনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেলা ১১টার দিকে মার্কেটিং বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অভি দাস প্রিতমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুকেশ দেবকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

অনশনরত জগন্নাথ হল সংসদের জিএস কাজল দাস বলেন, আমাদের অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমি হাসপাতালে যাবো না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে আমি এখানেই থাকবো, হাসপাতালে যাবো না।

সংহতি জানিয়ে ঢাবি অধ্যাপক আ ক ম জামাল বলেন, নির্বাচনের তারিখ যখন ৩০ জানুয়ারি ঘোষণা করা হলো সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিবৃতি দিয়েছিলাম। যাতে করে ইসি নির্বাচনের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করে। আমরা মনে করেছিলাম ক্যালেন্ডারের কোনো ভুলের কারণে তারা এটি লক্ষ্য করেনি। কিন্তু পরে দেখছি পূজা আর ভোট একদিনে হবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এ পর্যন্ত ১২ জন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আজকেও দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।

ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের পর রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার চলছে আন্দোলনের তৃতীয় দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এসকেবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।