ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

পিইসি পাসের প্রশংসাপত্র নিতে ৩ হাজার টাকা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
পিইসি পাসের প্রশংসাপত্র নিতে ৩ হাজার টাকা!

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় (পিইসি) পাসের প্রশংসাপত্রে তিন হাজার টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। অথচ যেখানে বিদ্যালয় থেকে এ প্রশংসাপত্র নিতে কোনো টাকা খরচ হওয়ার কথাই না। 

অভিযোগে জানা গেছে, লালমনিরহাট শহরের হাড়িভাঙ্গা এলাকায় আদর্শ ইসলামিক স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। চলতি বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ শিক্ষার্থী পিইসিতে অংশগ্রহণ করে।

শতভাগ পাস নিয়ে জিপিএ-৫ পায় ২০ জন পরীক্ষার্থী। পিইসি পাস শিক্ষার্থীরা নতুন প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে সনদপত্র ও প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রশংসাপত্র আবশ্যক।  

জেলার সব প্রতিষ্ঠানে প্রশংসাপত্র বিনামূল্যে সরবরাহ করলেও আদর্শ ইসলামিক স্কুলে প্রশংসাপত্র প্রতি বিনা রশিদে ৩ হাজার টাকা ফি আদায় করছেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। অনেক গরিব শিক্ষার্থী টাকা দিতে না পেয়ে সংগ্রহ করতে পারছেন না প্রশংসাপত্র। ফলশ্রুতিতে তাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।  

আদর্শ ইসলামিক স্কুল থেকে পিইসি পাস করা শিক্ষার্থী আল আমিন, ইয়াসিন আরাফাত, মুশফিকা জান্নাত দিশা ও জানাতুল আশরাফি জুতি বাংলানিউজকে বলে, আমরা এ প্রতিষ্ঠান থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পাস করা প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্র দাখিল করা আবশ্যক। কিন্তু আদর্শ ইসলামিক স্কুলে প্রশংসাপত্র ফি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন। টাকা নিলেও কোনো রশিদ দেওয়া হয় না। প্রশংসাপত্র না দিলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে।

সোহরাব হোসেন নামে এক অভিভাবক বাংলানিউজকে বলেন, আমার দুই মেয়ে স্বর্ণা ও বন্যা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পিইসি পাস করে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু দুই মেয়ের প্রশংসাপত্র নিতে ৬ হাজার টাকা লেগেছে। প্রশংসাপত্র নতুন প্রতিষ্ঠানে জমা না দিলে মেয়েদের ভর্তি বাতিল করা হবে। মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত তিনি।

আদর্শ ইসলামি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এরশাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, তিন হাজার নয়, মাত্র ৩শ টাকা নেওয়া হয়েছে প্রশংসাপত্র বাবদ। তবে রশিদ না দেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।  

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী বাংলানিউজকে বলেন, প্রশংসাপত্রের বিপরীতে কোনো অর্থ নেওয়ার বিধান নেই। প্রশংসাপত্রে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অভিভাবক ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জেনে আদর্শ ইসলামিক স্কুলের কর্তৃপক্ষকে জবাব দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। তারা সাড়া দেয়নি। তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।