ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পিইসি-জেএসসি পাস শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
পিইসি-জেএসসি পাস শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা: প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় যারা পাস করেছে, তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে তিনি এই পরীক্ষায় জড়িত শিক্ষকদের, অভিভাবকদের এবং বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, শিক্ষকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় শিশুরা লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী। তাদের মেধা বিকাশে অভিভাবকদের ভূমিকাও অনেক।

এছাড়া বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজস্ব পদ্ধতিতে সফল পরীক্ষা গ্রহণ এবং ফলাফল প্রক্রিয়া শেষ করেছেন, তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুই সমাপনীর ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এরপর বিভিন্ন মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

পরে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাকে একেবারে আধুনিক করতে চাই। শিক্ষকদের প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা দিতে হবে। শিশুদের প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে হবে। আজকের শিশু আগামী দিনে সোনার ছেলে হবে। বড় বড় পদে কাজ করবে।

তিনি বলেন, শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা যেখানে স্কুল নেই, সেখানে স্কুল করে দিচ্ছি। যেখানে যেখানে প্রয়োজন, হিসেব হিসেব করে করে আমরা নতুন স্কুল করে দিচ্ছি। শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষকদের বেতনও বাড়িয়ে দিয়েছি। বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। বৃত্তি দিচ্ছি। অনেক মা-বাবা খরচ চালাতে পারে না। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য দিচ্ছি। ঝরে পড়া কমাতে সাহায্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সচেতনতার উদ্যোগ নিচ্ছি। এছাড়া জাতির পিতা মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করে দিয়েছিলেন। আমরা সেটার ধারাবাহিকতা রেখেছি।

তবে শুধু বইপড়া নয়, শিশুদের এর পাশাপাশি খেলাধুলা এবং কারিগরি শিক্ষাও নিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। জায়গায় জায়গায় স্টেডিয়াম করে দিয়েছি। আরও করছি। খেলাধুলায় ভালোও করছে শিশুরা। এরা অনেক মেধাবী। আমাদের থেকেও আজকের শিশুরা অনেক মেধাবী। আমাদের সময় এমন ছিল না। এরা ডিজিটাল বিষয়ে অনেক জানে।

শিশুদের নিজের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস জানতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা শিশুদের কম্পিউটার শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। কারিগরি শিক্ষায়ও তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ছোটবেলায় যাতে তারা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে, সে দিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। যেন তাদের লুকিয়ে থাকা মেধা বিকশিত হয়।
আরও পড়ুন
>> 
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষার ফল হস্তান্তর

>> বই উৎসবের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়; ১১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এমইউএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।