ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাস আটকে জাবি ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা দাবির অভিযোগ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
বাস আটকে জাবি ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা দাবির অভিযোগ ঠিকানা পরিবহনের পাঁচটি বাস আটক করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ছবি: বাংলানিউজ

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঠিকানা পরিবহনের বাস আটকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে।
 

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক সংলগ্ন মহাসড়কে পাঁচটি বাস আটক করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বাস মালিকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরে রাত ৮টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

জানা যায়, চাঁদা দাবি করা অর্ণব সরকার শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার অনুসারী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৪২তম আবর্তন ও আল বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে আল বেরুনী হলের কিছু ছাত্রলীগকর্মী জয় বাংলা গেটে এসে ঠিকানা পরিবহনের বাস আটকায়। এসময় তারা মোট পাঁচটি বাস আটক করে। পরে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অর্ণব সরকার বাসগুলোর চাবি নিয়ে ক্যাম্পাসে চলে যান।

ঠিকানা পরিবহনের আঞ্চলিক রোড সুপারভাইজার বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে একটা গাড়ি এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা মেরেছে। পরে অর্ণবের নেতৃত্বে ৮-১০ জন শিক্ষার্থী আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের কাছে জানতে চাইলাম, কোন গাড়ি ধাক্কা মেরেছে। কিন্তু তারা সে তথ্য দিতে পারেনি। ফলে আমরা ট্রেস করতে পারছি না এবং ঠিক বুঝতে পারছিনা যে আসলে এমন ঘটনা ঘটেছিল কি-না। এখন আবার ৫০ হাজার টাকা দাবি করছে অর্ণব। আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা বলেছেন, কোনো টাকা দিতে পারবো না, তারা যা খুশি করুক।

তবে টাকা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা অর্ণব সরকার বাংলানিউজকে বলেন, হলের ছোট ভাই ঠিকানা বাসে আহত হয়েছে জানতে পেরে বাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য জয় বাংলা গেটে যাই। মালিক পক্ষ আহত হওয়ার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানালে আমি চলে আসি। পরে কী হয়েছে জানি না।

এ বিষয়ে জানতে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাড়ি আটকানো আল বেরুনী হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, শুক্রবার আমাদের ৪৪তম আবর্তনের বন্ধু মাসুদ বাস থেকে নামার সময় জয় বাংলা গেটের কাছাকাছি এলে বাসের হেলপার তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আমরা সেই সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবির জন্য শনিবার গেটে যাই। কিন্তু বাস কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে অস্বীকৃতি জানালে আমরা পাঁচটি বাস আটক করি। আর টাকা-পয়সা দাবির বিষয়ে সিনিয়ররা হয়তো কিছু জানতে পারেন। এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। আমরা বন্ধুর আহত হওয়ার বিচার চাইতে গিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।