ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

দেশের কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না: শিক্ষামন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
দেশের কোথাও প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না: শিক্ষামন্ত্রী  সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি ও উপমন্ত্রী নওফেল

ঢাকা: আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় দেশের কোথাও কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

তিনি বলেন, এবছর ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন, ছাত্রী ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন।

মোট পরীক্ষা কেন্দ্র ৩ হাজার ৪৯৭টি।  

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, ২০১৮ সালে দেশে কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি। আশা করছি এবছরও কোনো প্রশ্নফাঁস হবে না। প্রশ্নফাঁস নিয়ে যতো খবর ছিল তার বেশিরভাগ বা প্রায় ৮০ শতাংশ গুজব। তাই অভিভাবকসহ সবাইকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানাই।  

তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে যদি কেউ গুজব ছড়ায় তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করা হলে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সরকার ও মন্ত্রণালয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করছে।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় এখনও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। আগামীতে এ খাতে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থী বাড়ানো হবে। দেশে যে উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে তার সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থায়ও উন্নত পদ্ধতি আনা হচ্ছে। এজন্য আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।  

তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়। শিক্ষাব্যবস্থাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়। এতে নেতিবাচক কোনো দিক ছিল না। তবে সব ব্যবস্থা বা পদ্ধতি সফল হবে এটা কেউ বলতে পারে না। তাই প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে।  

এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝরে যাওয়ার হার কমিয়ে আনতে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবছর পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সবার জন্যই গৃহীত ব্যবস্থা হবে সন্তোষজনক।  

এক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, অর্থনীতির চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষায় পরিবর্তন হচ্ছে। কোনো ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পদ্ধতির পরিবর্তন করা হয় না। আমরা কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি না। পদ্ধতির আপডেট করছি শুধু।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ২২৯ জন এবং ছাত্রী ৫৬ হাজর ২০৫ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৩১টি। কেন্দ্র বেড়েছে ৮৫টি। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৪০ হাজর ৯৩৭ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৪ জন। বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (১, ২, ৩ ও ৪ বিষয়ে) ৩ লাখ ৪২ হাজার ৮৩৯ জন। এবছর বিজ্ঞান বিভাগে ৫ লাখ ৪১ হাজর ৩৫৩ জন, মানবিকে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩৪০জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪০৯ জন। এছাড়া দেশের বাইরে জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপলি, দোহা, দুবাইসহ ৮টি কেন্দ্র ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১৯২, ছাত্রী ২৪২ জন।  

আরো জানানো হয়, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু ৫ মার্চ শেষে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু ৬ মার্চ শেষ হবে। কারিগরি শিক্ষা বের্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।