ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নৌকার পক্ষে প্রাথমিকের ৩ লাখ সহকারী শিক্ষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
নৌকার পক্ষে প্রাথমিকের ৩ লাখ সহকারী শিক্ষক বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সংবাদ সম্মেলন | ছবি: শাকিল

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করতে ৩ লাখ সহকারী শিক্ষক একযোগে কাজ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বৈষম্য দূরীকরণের বিষয় উল্লেখ থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন কাঠামোতে এখনও কিছু বৈষম্য রয়ে গেছে। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ও পদমর্যাদাগত বৈষম্য রয়েছে। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার আমলে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে কোনো ধরনের বেতন বৈষম্য ছিল না। ২০০৬ সালে সহকারী শিক্ষকদের দুই গ্রেড নিচে নামানো হয়, ২০১৪ সালে এসে সেটি ৩ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমানে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেড (১২ হাজার ৫০০ টাকা) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৪তম গ্রেড (১০ হাজার ২০০ টাকা) পাচ্ছেন।

মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ১৬ বছর চাকরি করার পর একজন প্রধান শিক্ষরের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকের বেতন-ভাতায় ২০ হাজার টাকা ব্যাবধান তৈরি হচ্ছে। একজন প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরি শুরু করেন সেখানে একজন সহকারী শিক্ষক সেই স্কেলেরও এক গ্রেড নিচে চাকরি থেকে অবসর নেন। এটি আমাদের জন্য অসম্মানের একটি বিষয়।
 
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, সহকারী শিক্ষকদের ৩ ধাপ বেতন বৈষম্য নিরসনে দীর্ঘ পাঁচ বছর আন্দোলন করার পরও আমাদের সমস্যা সমাধান না হওয়ায়, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর আমরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর আমরণ অনশন পালন করি। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী, সচিব ও প্রাধমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এসে আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে আমার অনশন ছেড়ে বাড়ি চলে যাই। এরপর ১১ মাস পার হলেও আজও আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, আমাদের মর্যাদার দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা বিভিন্নভাবে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণের চেষ্টা করি। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের যৌক্তিক দাবির বিষয়টি তুলে ধরি। তিনি আমাদের দাবি পূরণে আশ্বাস্ত করেন। পরে সেটি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করা হয়। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সংগঠনের শিক্ষক নেতারা বলেন, সরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মর্যাদা না দিয়ে দেশের শিক্ষার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়, শিক্ষকদের মর্যাদা দিয়েই তা করতে হবে। এ দাবি থেকে আমরা একচুলও সরে যাব না। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে আমাদের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ওমর খৈয়াম বাগদাদী, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক তপন দাসসহ আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ১৮
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।