ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নতুন বইয়ের গন্ধটা ভারি চমৎকার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৭
নতুন বইয়ের গন্ধটা ভারি চমৎকার বই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: শাকিল

ঢাকা: হাজারো শিশু-শিক্ষার্থীর বই বিতরণ উৎসবের অনুষ্ঠানে আসার আগে নানা বিষয়ে চিন্তা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে, অনুষ্ঠানে এসে খুশি হয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত বই বিতরণ উৎসবে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিজের উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে রোববার (০১ জানুয়ারি) সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুহিত বলেন, আমরা আশরাফুল মাকলুকাত..., আমাদের পড়াশোনা করতে হয়, জ্ঞান আহরণ করতে হয়...।

 আমাদের মধ্যেই সুপ্ত আছে ভবিষৎ। সেটাকে আমাদের চেষ্টা করে, অনুশীলন করে আগাতে ইচ্ছে হয়।
 
'আমি আজকে সকালে ভাবছিলাম যে তোমাদের এখানে আসবো, এরকম অনুষ্ঠানতো আমি কখনও দেখিনি জীবনে। ভাবছি কী করবো, কী বলবো, কী পড়বো- সবই চিন্তা করেছি। তারপরে ভাবলাম আজকে একটু ভালো কাপড়-চোপড় পরে যাই; এক নম্বর। ’
 
‘তারপরে দুই নম্বর চিন্তা করলাম, তোমাদের কাছে বলবো যে তোমরা কত ভাগ্যবান, তোমরা আজকে সবাই যাবে(বই উৎসবে), বলেন মুহিত।  
 
‘নতুন বইয়ের একটা আনন্দ আছে। এই যে একটা গন্ধ, এটা ভারি চমৎকার। নতুন বইয়ের গন্ধটাই চমৎকার। দুই নম্বর ব্যাপারটা হলো, বইটা নিয়ে যাবে যখন তার মধ্যে নিজের নামটা লিখবে- এই বইয়ের মালিক আমি; এটা এক প্রকার আনন্দের ব্যাপার। ’
 
বই উৎসবের অনুষ্ঠানে অতিথিরা।  ছবি: শাকিলশিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে যখন তোমাদের পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবে, সেখানেও আনন্দ আছে। হ্যাঁ, আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি, বইটা পড়েছি, জ্ঞান আহরণ করেছি, শিক্ষিত হয়েছি।
 
তিনি বলেন, আমাদের প্রায় সাড়ে সাতানব্বই পার্সেন্ট ছেলে মেয়ে লেখাপড়ায় আছে...। আগে যথেষ্ট স্কুল ছিল না, এখন যথেষ্ট স্কুল আছে। এই যে ভাগ্য, এটাকে আমি বলি সৌভাগ্য এবং এখানেই আমি মনে করি তোমরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। আমাদের সময় এ সুযোগ ছিল না, পড়াশোনা সকলে করতে পারত না, এখন সকলেই পড়াশোনা করতে পারে।
 
‘আমাদের যারা এদেশে কর দেন, টাকা পয়সা দেন, সেই সব টাকা পয়সা দিয়ে কাজকর্ম করি। কিন্তু আমাদের জনগণও শিক্ষার ব্যাপারে খরচ করতে খুব বেশি আপত্তি করে না। তারা খুশি হয়, কারণ এতে তাদেরই লাভ হয়। এতে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত গড়ে ওঠে। ’
 
তিনি বলেন, এই যে ভবিষ্যতটা গড়ে ওঠা, যে দায়িত্বটা তোমরা নতুন বই নিয়ে গ্রহণ করছো, উদ্দেশ্য হচ্ছে সাফল্য লাভ, আজকের দিনে এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
 
‘আমার খুব আনন্দ যে তোমাদের হাতে বইগুলি যাবে, তোমরা অত্যন্ত খুশি হবে। নতুন বইয়ের গন্ধ শুকবে এবং নিজের নাম মোটা মোটা হরফে লিখে ফেলবে। ’
 
নতুন বই পেযে শিক্ষার্থীদের অানন্দ প্রকাম।  ছবি: শাকিলশিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, সব কিছুর উদ্দেশ্য হচ্ছে- আমাকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে, শিক্ষাদীক্ষা করতে হবে, মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তাহলে এই দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় অবদান রাখতে পারব।
 
‘আমরা অবদান রেখেছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো অবদান তোমাদের কাছ থেকে আশা করি। উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করছি। বলেন অর্থমন্ত্রী।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি উৎসবটাকে আনন্দপূর্ণ করার। অর্থমন্ত্রীকে যোগ্য জায়গায় নিয়ে এসে একটু সম্মান দেখানোর চেষ্টা করেছি। তার দূর দৃষ্টিতে প্রাথমিক শিক্ষার সমস্যা থাকবে না।
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। এ সময় হাজারো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে মুখর ছিল খেলার মাঠ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
এমআইএইচ/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।