ঢাকা: নতুন বছরের প্রথম দিন চার কোটির বেশি শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নতুন বইয়ের ৯৫ শতাংশ উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবে।
বই ছাপানোর কাজে নিয়জিত এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, বিতরণের জন্য প্রায় ৯৫ শতাংশ পাঠ্য পুস্তক পৌঁছে গেছে। কাল-পরশুর মধ্যে বাকি বইগুলো চলে যাবে। গত কয়েক দিন ছুটি না থাকলে পৌঁছে যেত।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান দাবি করে বলেন, মোট বইয়ের মধ্যে বাফার স্টক (আপদকালীন) হিসাবে যে ২-৩ শতাংশ বই রাখা হয তা পৌঁছানো বাকি রয়েছে। এই বইগুলোও পৌঁছে যাবে দু’এক দিনের মধ্যে।
শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর চার কোটি ২৬ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৫টি বই বিতরণ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এবার পাঁচটি ভাষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক ছাপানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ব্রেইল পদ্ধতিতেও বই ছাপা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে উৎসব পালন করবে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, উৎসবে প্রধান অতিথি থাকবেন অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
১ জানুয়ারি সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালিত হবে।
২০১০ সাল থেকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যের বই বিতরণ করে আসলেও পরের বছর থেকে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করছে সরকার।
২০১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল ও কারিগরি বিদ্যালয়ের চার কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭২টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ
