ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কর্মবিরতিতে যবিপ্রবি শিক্ষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
কর্মবিরতিতে যবিপ্রবি শিক্ষকরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির ডাকে সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।



এদিকে, শিক্ষকদের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের আন্দোলনে প্রশাসনিক কার্যক্রমেও এসেছে স্থবিরতা। ফলে যবিপ্রবি একাডেমিক ভবনও ফাঁকা।

সোমবার(১১ জানুয়ারি) দুপুরে যবিপ্রবি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, গোটা ক্যাম্পাসে কোনো শিক্ষার্থী নেই। একাডেমিক ভবনে অধিকাংশ বিভাগের চেয়ারম্যান, ডিন ও প্রফেসরদের অফিসে তালা ঝুলছে। দুই একটি অফিসের দরজা খোলা থাকলেও ভেতরে চেয়ারে কেউ নেই। ফলে, প্রশাসনিক কার্যক্রমেও এসেছে স্থবিরতা। এতে কর্মকর্তারাও অঘোষিত ছুটি পালন করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিসের বাইরে অলস সময় পার করছেন। তবে, যবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার অফিসে উপস্থিত থাকায় বেশ কিছু কর্মচারীদের মধ্যে ব্যস্ততা দেখা গেছে।

যবিপ্রবি জনসংযোগ দপ্তরের সহকারী পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর যবিপ্রবি ছাত্র ও কর্মচারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা এবং আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে আসেনি।

তবে, আগামী ১৬ জানুয়ারি হল খুলে দেওয়া হলে ওইদিনই ছাত্র-ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর ১৭ জানুয়ারি থেকে সব বিভাগে ক্লাস এবং পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। তবে শিক্ষকরা আন্দোলন করে বন্ধ রাখলে প্রশাসনিক শাখার কিছু করার থাকবে না।

যবিপ্রবি ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই যবিপ্রবি শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করেছেন।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ কোটাসহ অপেক্ষামান তালিকা থেকে ভর্তির কার্যক্রম চলছে। আর এই কার্যক্রমমের জন্য যবিপ্রবি অগ্রণী ব্যাংক শাখার ‘‘এক দরজা’’ খোলা রয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম ব্যতিত সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এমন কি কোনো প্রকার একাডেমিক হাজিরা খাতায়ও স্বাক্ষর করছেন না শিক্ষকরা।

যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি। অধিকাংশ শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। তবে কেউ কেউ ব্যক্তিগত কাজে অফিসে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, যবিপ্রবি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আগামী ১৬ জানুয়ারি যবিপ্রবি হল খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ করবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।