ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাল সনদের গ্রন্থাগারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
জাল সনদের গ্রন্থাগারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ

ঢাকা: গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিষয়ে ডিপ্লোমাধারী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশের সনদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমপিওভূক্তির আবেদন যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে তাদের সনদ ভুয়া ও জাল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তাই ওই সকল সনদধারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

রোববার (১৯ এপ্রিল‘২০১৫) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মো. আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম মোস্তফা, এস এম আবুল কালাম আজাদ, মোহা. মামুনুর রশিদ ও সেলিনা আক্তার বানু এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, বিতর্কিত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ শাখাসহ বিভিন্ন ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়ে কয়েক হাজার সহকারী গ্রন্থাগারিক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান। অনেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সনদ সংগ্রহ করেও চাকরি নেন। কিন্তু এমপিওভুক্তির আবেদনের সময় দেখা যায়, অধিকাংশের সনদ স্বীকৃতপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের নয়।

ফলে তাঁদের এমপিওভুক্তি বন্ধ করে দেয় সরকার। এ নিয়ে ২০১৩ সালে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করেন এসব গ্রন্থাগারিকরা। এরপর মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) দফায় দফায় বৈঠক করে বিগত সরকারের শেষ সময়ে এসে শর্তসাপেক্ষে তাদের এমপিওভূক্তির দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের এমপিওভূক্তির অগ্রগতি জানতে চান একজন সদস্য। পরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভুয়া সনদধারীদের কোনোভাবেই এমপিওভুক্ত করা হবে না। আর ২০১৩ সালের জানুয়ারির আগে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে যাদের গ্রন্থাগারবিজ্ঞান বিষয়ে ডিপ্লোমা সনদ সঠিক, কিন্তু প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদিত নয়, তাদেরকে শর্তসাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইউজিসি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন সনদ না জমা দিলে তাদের এ সুবিধা বাতিল হবে।

২০১৩ সালের জানুয়ারির পর নিয়োগ পাওয়া কেউ এই সুযোগ পাবেন না বলেও বৈঠকে জানানো হয়।
 
বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে সঠিক সনদধারীদের এমপিওভূক্তির কাজ দ্রুত শেষ করার পাশাপাশি ভূয়া ও জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। যারা জাল সনদের ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাসকৃত গ্র্রাজুয়েটদের ৬ মাসের ইর্ন্টানশিপের বিষয়টি পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
এসএম/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।