ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালা

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতার পরিমাপ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কৃষি অর্থনীতিতে গবেষণায় যুক্ত ব্যক্তিদের কৃষকের দক্ষতা পরিমাপের বিভিন্ন পদ্বতি নিয়ে আলোচনা করা হয় কর্মশালায়।



প্রধান আলোচক ইংল্যান্ডের প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ উন্নয়ন বিষয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সানজিদুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

সোমবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. শাদাত উল্লা, বিশেষ অতিথি উপ-উপচার্য প্রফেসর ড. শহীদুর রশীদ ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন ।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন  এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রোকেয়া বেগম।
দুই পর্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার প্রথম পর্বে আগত অতিথিরা কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতার পরিমাপ বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

দ্বিতীয় পর্বে প্রধান আলোচক ড. সানজিদুর রহমান প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে কৃষকের দক্ষতা পরিমাপের  উপায় তুলে ধরেন।

বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রায় শতাধিক শিক্ষক ও স্নাকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই কর্মশালায় অংশ নেন।

বক্তব্যে  উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন , শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজে যুক্ত থাকায় তাদের অবশ্যই দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। নচেৎ উৎপাদনশীলতা অনেকাংশে হ্রাস হবে।

প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর মো. শাদাত উল্লা যুগপোযোগি কর্মশালার আয়োজন করায় এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বর্তমানে প্রতিযোগিতার বাজারে দক্ষতা মূল অস্ত্র এবং কৃষকের জন্য তা অতীব প্রয়োজন।

কর্মশালার আয়োজক কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শাহ্ জহির রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, কম খরচে অধিক উৎপাদনের প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে নিতে এই কর্মশালার আয়োজন।
উক্ত কর্মশালা বেলা ১০ টা থেকে শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত।

বাংলাদেশের কৃষি কাজে কৃষকের দক্ষতার পরিমাপ জানতে চাইলে ড. সানজিদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গড়ে এদেশের কৃষকের দক্ষতা প্রায় শতকরা ৮৪ ভাগ। যদি আমরা এই দক্ষতাকে বাড়াতে পারি তবে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে খাদ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা , এপ্রিল ০৬,২০১৫
কেজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।