ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবির ১৪ শিক্ষকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৫
বেরোবির ১৪ শিক্ষকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ

রংপুর: রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪জন শিক্ষকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার(১ এপ্রিল‘২০১৫)দুপুরে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি।



বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে দাবি আদায়ের জন্য ৩৫টি প্রশাসনিক পদে দায়িত্বপালনকারী ১৮জন শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দেন।

এরমধ্যে চারজন শিক্ষক তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে দায়িত্বে যোগ দেন।

বাকি ১৪জন শিক্ষক ২৭টি পদ থেকে তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার না করায় অবশেষে তাদের পদত্যাগপত্র বুধবার গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি জানিয়েছেন, পদত্যাগকারী শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে মৌখিকভাবে বহুবার এবং লিখিতভাবে সময় দিয়ে অনুরোধ জানানো হলেও তারা তাদের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন নি।

রেজিস্ট্রার আরও জানান, পদত্যাগকারী শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেনি জানিয়ে তাদের দায়িত্বে যোগ দিতে লিখিতভাবে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তারা লিখিত অনুরোধের কোনো জবাব দেননি এবং কাজে যোগ দেন নি।

এরপর গত ১৮ মার্চের মধ্যে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের জন্য দ্বিতীয় দফায় আবারও অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও তারা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন নি।

বুধবার দুপুর পর্যন্ত শিক্ষকরা লিখিত বা মৌখিকভাবে এ বিষয়ে কিছুই জানান নি। তাই তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।  

যাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে তারা হলেন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আর এম হাফিজুর রহমান (সেলিম), কলা অনুষদের ডিন ড. সাইদুল হক (শিমুল মাহমুদ), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোরশেদ হোসেন, সিন্ডিকেট সদস্য ও অর্থ কমিটির সদস্য ড. সরিফা সালোয়া ডিনা, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রধান রফিউল আজম খান (নিশার), ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট তানিয়া তোফাজ, সাইদুর রহমান ও শেখ মাজেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্ট ড. শফিকুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, কমলেশ চন্দ্র রায় ও আজিজুর রহমান, রসায়ন বিভাগের প্রধান এইচ. এম তারিকুল ইসলাম এবং ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আলী রায়হান সরকার।

এদিকে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করায় এসব শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও তাদের (পদত্যাগকারী শিক্ষক) কোনো সাড়া না পেয়ে তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।

৯০ হাজার শিক্ষার্থীর কথা ভেবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার জন্য নিরুপায় হয়েই তিনি প্রদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানান উপাচার্য।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।