ঢাকা, সোমবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির সূর্যসেন হল অডিটরিয়ামের দেয়াল ধসে আহত ২

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৫
ঢাবির সূর্যসেন হল অডিটরিয়ামের দেয়াল ধসে আহত ২ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঝড়ো বাতাসে ধসে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা’ সূর্যসেন হল অডিটরিয়ামের পশ্চিম পাশের দেয়ালের বর্ধিতাংশ। এতে এক শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন দুইজন।



বুধবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীরা সেখানে সকালের নাস্তা করছিলেন।

হলের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী জানান, ঝড় শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ে অডিটরিয়ামের বর্ধিতাংশের দেয়ালটি। সেখানে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা দ্রুত সরে যেতে পারলেও দুজন আহত হন।

আহত শিক্ষার্থীর নাম শাহিনুর রহমাম রেজা। তিনি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরজনের নাম শাহ পরান। তিনি দোকানের কর্মচারী। আহতদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দেখা যায়, গেমস রুম হিসেবে ব্যবহৃত সূর্যসেন হলের অডিটরিয়ামটির পশ্চিম পাশের দেয়ালের ওপরের অংশ ভেঙ্গে পড়েছে।

অডিটরিয়ামের বারান্দা পশ্চিম দিকে বর্ধিত। বর্ধিত এ অংশটি ছাউনির মত। এর নিচ দিয়ে হলের উত্তর ব্লকের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন।

অডিটরিয়ামের সামনেই রয়েছে কয়েকটি টঙ দোকান। শিক্ষার্থীরা এখানে খাওয়া দাওয়া করার সময় বারান্দার ওই ছাউনির নিচেই বসেন।

প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও সেখানে বসেই নাস্তা করছিলেন ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থী। ঝড় শুরু হলে তারা দ্রুতই সরে গিয়ে পাশের গেমসরুম এবং হল বারান্দায় অবস্থান নেন। তখনই ধসে পড়ে ছাউনিটি।

এতে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য রাখা লোহার বেঞ্চগুলোও দুমড়ে মুচড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা জানান ভেঙ্গে যাওয়া দেওয়াল শিক্ষার্থীদের মাথার ওপরে ভেঙ্গে পড়লে ঘটতে পারত বড় দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলানিউজকে বলেন, অডিটরিয়ামটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই অফিসিয়ালি তা আর ব্যবহৃত হচ্ছে না।

নোটিশ নিয়ে ওই ভবনটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না তেমনটি করা হয়নি। তবে মৌখিকভাবে নিষেধ করা হয়েছিল।

কিন্তু সরেজমিন দেখা যায়, ভবনটি এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটিকে হলের শিক্ষার্থীরা গেমসরুম হিসেবে ব্যবহার করেন এবং হলের ক্যান্টিন বয়রা এখানে রাত্রিযাপন করেন।

তবে ভবনটি সংস্কারে কয়েকবার তাগাদা দেওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান প্রাধ্যক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভবনের মূল কাঠামোর কোন ক্ষতি হয়নি। যে অংশটি ভেঙ্গে পড়েছে সেটা ওই ভবনের বর্ধিত দেয়াল।

১৯৬৬ সালে নির্মিত মাস্টারদা সূর্যসেন হলের অডিটরিয়ামটি প্রতিষ্ঠাকালেই নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।

কত বছরের জন্য এটি  নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম জানতে চাইলে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, এখন জানা নেই পুরনো ফাইল ঘেটে জানাতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।