ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

সোনাঝরা দিনের স্মৃতি রোমন্থনে রঙিন মতিহার

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫
সোনাঝরা দিনের স্মৃতি রোমন্থনে রঙিন মতিহার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) থেকে: প্রিয় বন্ধু-সতীর্থদের সঙ্গে দেখা হয়নি বহুদিন। চিরচেনা ক্যাম্পাসে সেই বন্ধুকে অনেক দিন পর পেয়ে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় আর গল্প-আড্ডায় মেতেছে সতীর্থরা।

আর এই গল্প আড্ডায় বারবারই ফিরে ফিরে আসছে ছাত্রজীবনের সোনাঝরা দিনগুলোর নানা কথা-স্মৃতি।

অনেক দিন পর একসঙ্গে বন্ধু-বান্ধবীর দেখা করার সুযোগ এনে দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সমাবর্তনকে ঘিরে মতিহারের সবুজ চত্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছে নতুন রূপে। সন্ধ্যায় বিজলি বাতি সেই রূপকে যেন আরও মোহনীয় করে তুলেছে।

রোববার (১৮ জানুয়ারি) রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের নবম সমাবর্তন, আর এই সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস জুড়ে এখন সাজ সাজ রব।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।

সমাবর্তন বক্তা হিসাবে থাকবেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. তালাত আহমদ।

অনুষ্ঠানে গ্রাজুয়েট, শিক্ষক ও অতিথি মিলে ছয় হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।

বিএনপি জোটের অবরোধ উপেক্ষা করে বিলম্বিত ট্রেন, বাস আর ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে হাজির হয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা।

শনিবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বিভিন্ন বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে সমাবর্তন কস্টিউম, ব্যাগ ও আনুষঙ্গিক সামগ্রী বিতরণ করা হয়। মূল অনুষ্ঠানের জন্য অপেক্ষা না করে বিশেষ এই পোশাক পরে কেউ দল বেধে, ‘ক্লিক ক্লিক’ শব্দে আর কেউ সেলফি তুলছেন পুরো ক্যাম্পাসে জুড়ে।

বিকেলে বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় ছোট ছোট আড্ডা অনুষ্ঠানের। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সামনেও ছিল স্মৃতিচারণ ও মতবিনিময় সভার।

সেখানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনও গঠন করা হয় এই বিভাগের।

মার্কেটিং বিভাগ, নৃবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিভাগ ছোট ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কনকনে শীত উপক্ষো করে এসব অনুষ্ঠান ঘিরে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে কেটেছে সন্ধ্যা।

সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে। কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। স্টেডিয়াম ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তায় রঙ তুলিতে আল্পনা এঁকে, ভবনগুলো বিজলি বাতি দিয়ে আলোকিত করে তোলা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে রঙ-বেরঙের ব্যনার, ফেস্টুন ক্যাম্পাসকে করে তুলেছে আরও বর্ণাঢ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, শহীদ মিনার, গোল্ডেন জুবেরী টাওয়ার, জুবেরী ভবন, আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন ধুয়ে-মুছে সাজানো হয়েছে। সাজসজ্জায় ব্যয় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর জানায়, সমাবর্তনে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তর, এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

সমাবর্তনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি রোববার ছাত্রীদের জন্য নবনির্মিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলেরও উদ্বোধন করবেন।

এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসসহ রাজশাহী নগরীতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। এনিয়ে বিকেলে একটি মহড়াও পরিচালনা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।