ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

তালপাতায় ২৫০ শিশুর শিক্ষায় হাতেখড়ি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৫
তালপাতায় ২৫০ শিশুর শিক্ষায় হাতেখড়ি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: উৎসবম‍ুখর পরিবেশে তালপাতায় মাতৃভাষার বর্ণ লিখে শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি হল যশোরের প্রায় আড়াইশ কোমলমতি শিশুর।

উদীচী যশোর জেলা সংসদের উদ্যোগে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।



আধুনিকতার ছোঁয়া অনেক কিছুর বদল হলেও হারিয়ে যায়নি ঐহিত্যবাহী হাতেখড়ি উৎসব। তবে আগের মতো রূপ লক্ষ্য করা যায়নি। মূলত আধুনিকতার পরশেই গত চার বছর ধরে এ উৎসবের আয়োজন করে আসছে যশোর উদীচী।

শুক্রবার (০৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শহরের পৌরপার্কে আয়োজিত শিশু মেলায় হাজির হন অভিভাবকসহ ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। পরে তাদের হাত ধরেই ২৫০ শিশুর শিক্ষায় হাতেখড়ি হয়।

এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব।

জেলা উদীচী সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর।

অনুষ্ঠানে শিশুদের হাতেখড়ি দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, প্রবীণ আইনজীবী অ্যাড. কাজী আব্দুস শহীদ লাল, অধ্যাপক সন্তোষ হালদার, সাবেক সিভিল সার্জন আতিকুর রহমান খান, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা, রাজনীতিবিদ ইকবাল কবির জাহিদ, কবি ও সাংবাদিক ফখরে আলম, দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন, যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন শিম্বা, কালিয়া মনোরঞ্জন কাপুড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ তাপসী কাপুড়িয়া, উপশহর মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ ডক্টর শাহানাজ পারভীন, উদীচী যশোরের সাবেক সভাপতি সোমেশ মুখার্জী, বর্তমান সহ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মজনু, মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, সেঞ্চুরি প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সিদ্দিকা পারভীন, ওয়াইডাব্লিউসিএর সাধারণ সম্পাদক শিখা বিশ্বাস, মৌমাছি স্কুলের শ্রাবন্তী বিশ্বাস প্রমুখ।

হাতেখড়ি নিতে আসা ৪ বছরের আবির হোসেন পাপনের মা রোজিনা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, গুণীজনদের হাত ধরে লেখাপাড়ার যাত্রা শুরু হওয়ায় ছেলে খুব খুশি, তিনিও খুশি।   এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

একই রকম অনুভূতি প্রকাশ করেন অরণ্য সাহার বাবা রাজেস কান্তি সাহা ও মুহতাসিন কাব্যর বাবা আতিকুজ্জামানও।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।