ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিভিন্ন জেলায় জেএসসি-পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল

কান্ট্রি ডেস্ক নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
বিভিন্ন জেলায় জেএসসি-পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মঙ্গলবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) এবং প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর:

বরিশাল: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বরিশাল জেলায় এবারে পাসের হার ৯৮দশমিক ১৭ শতাংশ।

পাসের হার এবং জিপিএ-৫ উভয় দিক থেকেই এগিয়ে মেয়েরা।

বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এবারে প্রাথমিকে বরিশাল জেলায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ উভয়দিক থেকেই এগিয়ে মেয়েরা। গড় পাসের হার যেখানে ৯৮ দশমিক ১৭ শতাংশ সেখানে ছেলেদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯৮ দশমিক ৬ শতাংশ।

অপরদিকে, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বরিশাল জেলায় এবার পাসের হার ৯৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

মো. তৌহিদুল ইসলাম আরও জানান,  গড় পাসের হার যেখানে ৯৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ সেখানে ছেলেদের পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

ভোলা: ভোলায় প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ৯৯ দশমিক ৩০ ও ইবতেদায়ীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ০৪।

জেলায় এ বছর প্রাথমিক সমাপনীতে অংশগ্রহণ করেছে ৩৪ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছে ৩২ হাজার ৭৪ জন। যাদের মধ্যে ছেলে ১৩ হাজার ৫৯৩ জন ও মেয়ে ১৮ হাজার ৯১৯ জন। প্রাথমিকে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৮৯ জন। এদের মধ্যে ছেলে ৪৪৪ জন ও মেয়ে ৪৪৬ জন।

অন্যদিকে, ইবতেদায়ীতে মোট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৭ হাজার ১৬৪ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৫ হাজার ৯৯৬ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলে ২ হাজার ৫০ জন ও মেয়ে ৩ হাজার ৫৪৮ জন। ইবতেদায়ীতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০ জন। যাদের মধ্যে ছেলে ২৫ জন ও মেয়ে ১৫ জন।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা ও জেলা প্রাথমিক মো. ছাইয়াদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় শিশু কানন প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড হাইস্কুল এবারের জেএসসি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।  

স্কুলটিতে জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৫০ জন। এদের মধ্যে পাস করেছে ৫০ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ জন।   

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় স্কুলটির পরিচালক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন,  এ স্কুল থেকে পিএসসি পরীক্ষায় ৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮ জনই পাস করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।

হবিগঞ্জ: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় সিলেট বোর্ডের সেরা ২০ এ হবিগঞ্জের ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে।

এর মধ্যে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পঞ্চম, বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নবম, গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ১৮তম এবং শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয় ১৯তম স্থান লাভ করেছে। এ বছর হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই কৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩০ জন।

বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৩ জন। মাধবপুর উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন।

মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন।

এদিকে, হবিগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় হবিগঞ্জে ৪১ হাজার ৩৭৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯ হাজার ৫৯৯ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৫.৭১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১০ জন।

এর মধ্যে মাধবপুর উপজেলার ৬৭২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭০২৫ জন কৃতকার্য হয়ে জেলার প্রথম স্থান লাভ করেছে। পাসের হার শতকরা ৯৮.৭১ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৫ জন।

এ ছাড়া হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৬৭৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫৭৮ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৭.১৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৭ জন। নবীগঞ্জ উপজেলার ৬৭২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৪৫৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৬.০৪ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ জন।

লাখাই উপজেলার ২৯২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৮২৬ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৬.৫৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৩ জন। চুনারুঘাট উপজেলার ৬৫৭৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৪৩৫ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৭.৮৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৯ জন।

বানিয়াচং উপজেলার ৬৩৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৭৪৭ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯০.৭২ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ জন। বাহুবল উপজেলার ৩১৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৮২৩ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৮৯.৮৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭ জন।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ১৭৮৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭০৮ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৫.৫৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন। এছাড়া ইবতেদায়ী পরীক্ষায় হবিগঞ্জের ৮ উপজেলার ২৪৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১৬৩ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাসের হার শতকরা ৯৭.৭৮ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছ ১৪ জন।

ঈশ্বরদী(পাবনা): জেএসসি পরীক্ষায় পাবনা জেলার সেরা দশে স্থান পেয়েছে ঈশ্বরদীর দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঈশ্বরদীর ইক্ষু গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয় পাবনা জেলায় ৬ষ্ঠ ও এস এম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৭ম স্থান অর্জন করে।

ইক্ষু গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাস করেছে আর এই স্কুল থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪০ জন।

অন্যদিকে, এস এম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০৬ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করে শতভাগ পাস করেছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১০ জন।
 
যশোর: জেএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাস করেছে ৯১ দশমিক ৯৬ ভাগ শিক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৬শ’ ৮৫ শিক্ষার্থী। এবার এ বোর্ড থেকে মোট এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৪ শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। যাদের মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৯ শিক্ষার্থী।

যশোর বোর্ডে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা। গত বছর ২০১৩ সালে জেএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ০৩। ওই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪ হাজার ৭০৪ শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৩০ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিক সম্মেলনে এতথ্য জানান যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবু দাউদ।
 
জয়পুরহাট: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে এবার জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ রাজশাহী বোর্ডে সেরা ২০ এর মধ্যে ৯ম স্থানে রয়েছে। তবে, প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জয়পুরহাট জেলার প্রথম স্থানে রয়েছে।

এবার জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট থেকে ৫৬ জন ক্যাডেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৫৬ জন পরীক্ষার্থীই এ প্লাস অর্জন করেছে। জেলায় ২য় স্থানে রয়েছে জয়পুরহাট রামদের সরকারি বাজলা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ২১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২১৮জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৩ জন।

অপরদিকে, জেলায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৪৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। শতভাগ পাস করে এবার এ বিদ্যালয় জেলায় ৩য় অবস্থানে রয়েছে।

নীলফামারী: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায়(জেএসসি) দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সেরা ২০ এর তালিকায় স্থান পেয়েছে নীলফামারীর দুটি প্রতিষ্ঠান।

সেরাদের তালিকায় ৬২টি জিপিএ পাঁচ পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ১৪৯ জন জিপিএ ৫ পেয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

এদিকে, জেলা পর্যায়ে সেরা ১০ এর তালিকায় বরাবরের মতো এবারো শীর্ষে রয়েছে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এছাড়া ১৪৯ জন জিপিএ ৫ পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ১৩৬ জন জিপিএ ৫ পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ১০৯ জন জিপিএ ৫ পেয়ে চতুর্থ স্থানে নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৮ জন জিপিএ ৫ পেয়ে পঞ্চম স্থানে ডিমলা রানী বৃন্দা রানী উচ্চ বিদ্যালয়, ২৮ জন জিপিএ ৫ পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে ডিমলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,  ৫৩ জন জিপিএ ৫ পেয়ে সপ্তম স্থানে সানফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৭২ জন জিপিএ ৫ পেয়ে অষ্টম স্থানে নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ৫১ জন জিপিএ ৫ পেয়ে আল ফারুক একাডেমি এবং ৪৬টি জিপিএ ৫ পেয়ে দশম স্থানে রয়েছে কিশোরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান।

কুমিল্লা: কুমিল্লা বোর্ডে ২০১৪ সালের জেএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩.৭৫। জিপিএ -৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ২৬৪ শিক্ষার্থী।
এবার ছেলেদের পাসের হার ৯৪.৭৫ এবং মেয়েদের পাসের হার ৯৩.০০। এ পরীক্ষায় ২ লাখ ৯ হাজার ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। যার মধ্যে ৯০ হাজার ৯১৪ জন ছাত্র ও ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৩২ জন ছাত্রী পাস করেছে।

জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে:

এ বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৬৪ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ৭ হাজার ১১০ জন ছাত্র ও ১০ হাজার ১৫৪ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:

এবার জেএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হারের দিক থেকে কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ২য় স্থানে রয়েছে কুমিল্লা নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ।

পর্যায়ক্রমে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হল- কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ, ফেনী সরকারি পাইলট হাই স্কুল, ফেনী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, কুমিল্লা আওয়ার লেডী অব ফাতিমা গার্লস হাইস্কুল, কুমিল্লা ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাদঁপুর মাতৃপিঠ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নোয়াখালি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা মর্ডান হাই স্কুল, নোয়াখালী জিলা স্কুল, কুমিল্লার বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাদঁপুরের হাজিগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড মডেল কলেজ, ফেনী শাহিন একাডেমি, বি.বাড়িয়ার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাদঁপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, চাদঁপুর আল আমিন একাডেমি এবং কুমিল্লার দেবিদ্বার অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

দিনাজপুরে: দিনাজপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) ও ইবতেদায়া শিক্ষা সমাপনী-২০১৪ সালের প্রকাশিত ফলাফলে পিএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ ও ইবতেদায়ীতে গড় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।

২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় ৫৭ হাজার ৬৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৬ হাজার ৩৮৪ জন। গড় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৮শ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে মেয়ে ৩ হাজার ২৩৬ জন ও ছেলে ৩ হাজার ৫৬৪। পিএসসির ফলাফলে বালকদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে।

এদিকে, মাদরাসার ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় ৪ হাজার ২৬৫ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ হাজার ১৮৩ জন। গড় পাসের হার ৯৭.৫০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়ে ১১১ জন। এর মধ্যে ছেলে ৬৫ জন ও মেয়ে ৪৬ জন। তবে ফলাফলে ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ছেলেরা এগিয়ে।

বরগুনা: বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোটবগী পি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বরিশাল বোর্ডে ১৩তম স্থান অধিকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটির পাসের দিক থেকেও রয়েছে শতভাগ সাফল্য।

ওই বিদ্যালয় থেকে এ বছর ১শ’ ১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সবাই পাস করেছে। যাদের মধ্যে ৪৯ জন জিপি-এ ৫, ৬২ জন এ গ্রেড এবং বাকি দুইজন এ মাইনাস পেয়েছে।

মাগুরা: মাগুরায় প্রাথমিক সমাপনীতে এ প্লাস- এর দিক থেকে জেলার শীর্ষে অবস্থান করছে ২নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মোট  ২২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই পাশ করেছে। এর মধ্যে ৬৮ জন এ প্লাস, ৯১ জন এ গ্রেডে পাস করেছে।

ভাল ফলাফলের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে সরকারি পিটিআই সংক্রান্ত পরীক্ষণ বিদ্যালয়। এখান থেকে ৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে ৫৮ জন এ প্লাস পেয়েছে। অন্যরা এ গ্রেডে পাস করেছে।  

অন্যদিকে, মাগুরা সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার ১০ শিক্ষার্থী এ প্লাসসহ শতভাগ পরীক্ষার্থী কৃতকার্য হয়ে জেডিসি পরীক্ষায় জেলার মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। এ মাদ্রাসা থেকে ৮৬ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। এর মধ্যে ১০ জন এ প্লাস, ৫৪ জন এ গ্রেড ও অন্যরা এ মাইনাস পেয়েছে।   

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে ২০১৪ সালের প্রাথমিক স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৯৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

জেলার ৭টি উপজেলার ২০২টি কেন্দ্রে মোট ৩৮ হাজার ৫৩৩ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। পাস করেছে ৩৭ হাজার ৫৫২ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে অংশ গ্রহণ করে ১৭ হাজার ৪০৪ জন ছাত্র ও ২১ হাজার ১২৯ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৫০ জন।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় (পিএসসি) এক হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৬ জন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ হোসেন জানান, সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলা থেকে ৮৪৮ জন ছেলে ও ৮২৭ জন মেয়ে পিএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া জেলার ৩৪ জন ছেলে এবং ২২ জন মেয়ে এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের পিএসসি পরীক্ষায় জেলার ৩৪ হাজার ৬৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে এক হাজার ৬৭৫ জন শিক্ষার্থী এ প্লাস, ৮ হাজার ৫০৭ জন এ, ৬ হাজার ৩২৩ জন এ মাইনাস, ৬ হাজার ৭৬২ জন বি, ৮ হাজার ৬৭৪ জন সি এবং ২ হাজার ৩৭১ জন ডি গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ৩৪৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৯ দশমিক ১৭ ভাগ।

সুনামগঞ্জ: প্রাথমিক শিক্সা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষায় সুনামগঞ্জে পাসের হার ৯৩.০৩। পরীক্ষার ফলাফল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে।

জেলার ১১টি উপজেলার মোট ৪৬,৩৩২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে  পাস করেছে ৪৩,১১৪ জন। এর মধ্যে ১৮, ৭৬০ জন ছেলে এবং ২৪,৩৫৪ জন মেয়ে।

জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯৯ জন। এর মধ্যে ৪২২ জন মেয়ে এবং ৩৭৭ ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

** পরীক্ষার সময় কমবে, প্রশ্ন হবে আগের রাতে
** প্রাথমিকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাফল্য
** শতভাগ পাসে এগিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
** ময়মনসিংহে জেএসসির পাসের হার পাঠায়নি শিক্ষাবোর্ড

** জেএসসি-জেডিসির গড় পাস ৯০.৪৩, প্রাথমিকে ৯৭.৯২, ইবতেদায়ীতে ৯৫.৯৮

** সিলেটে সেরা জেসিপিএসসি
** অ্যানড্রয়েডে মোবাইলে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ীর ফল

** জেএসসিতে তৃতীয় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল

** ইবতিদায়িতে শীর্ষ বায়তুশ শরক আদর্শ কামিল মাদ্রাসা

** জেএসসিতে দেশসেরা রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল

** সিলেট শিক্ষাবোর্ডে জেএসসির পাসের হার ৯১.৫৭

** জেএসসি-জেডিসির গড় পাস ৯০.৪৩, প্রাথমিকে ৯৭.৯২, ইবতেদায়ীতে ৯৫.৯৮
** প্রাথমিক সমাপনী-জেএসসি-জেডিসির ফল মঙ্গলবার
** এসএমএস-ইন্টারনেটে ফল পাওয়ার উপায়
** ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল আবারও দ্বিতীয়
** ছাত্র-শিক্ষক-পরিবারের চেষ্টায় ‘এ’ প্লাস

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।