ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নরসিংদীতে উপজেলা পর্যায়ে সেরা ফারুক আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
নরসিংদীতে উপজেলা পর্যায়ে সেরা ফারুক আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

নরসিংদী: নরসিংদীতে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে ফারুক আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

 

স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা দান, স্থানীয় আর্থিক অনুদানে স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা, ডিজিটাল হাজিরাসহ অধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করাসহ নানা ক্যাটাগরিতে স্কুলটিকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় নরসিংদী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ ক্যাটাগরিতে ফারুক আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়। নিয়মিত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপসহ ডিজিটাল ডিভাইজ দিয়ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।


প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ধনী-গরিবসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের সন্তানদের জন্য নরসিংদী সদর উপজেলায় ১৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে সরকার। এক সময় টিনশেড বিল্ডিংয়ে প্রাইমারি স্কুলের (প্রাথমিক বিদ্যালয়) শিক্ষা কার্যক্রম চললেও বর্তমানে প্রতিটি স্কুলে অধুনিক ভবন নির্মাণ করছে সরকার। স্থানীয় লোকজন, অবিভাবক ও ফারুক আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং জমিদাতা মোমেনা আজিজের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অনুদানের প্রায় ৭০ লাখ টাকায় ১২০ ফুট লম্বা পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট একটি নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে স্কুলটিতে দুটি আধুনিক ওয়াশরুম নির্মাণ করা হয়েছে। স্কুল কমিটির সদস্য স্বপন রায়ের তিন লাখ টাকা অনুদানে পাকা শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু পুষ্প কানন ও অজুখানা নির্মাণ করা হয়েছে।


শুধু তাই নয় ছাত্রছাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে ক্লাস করতে পারে, সেজন্য জমিদাতা পরিবার স্কুল রুমে ১৫টি ফ্যান, ২০টি লাইট, দুটি টেবিল, পাঁচটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়েছে।

মাস্কো গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সবুর সাহেবের আর্থিক অনুদানে বিদ্যালয়ে ওয়্যারিংয়ের কাজ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, তিনজন প্যারা শিক্ষকের সম্মানী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সম্মানী দেওয়া হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়শ্রী সাহা স্কুলটিকে আধুনিক রূপ দিয়েছেন। ফলে এলাকাবাসী ও অভিবাবকদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রধান শিক্ষক। প্রত্যন্ত গ্রামের এ স্কুলটি বর্তমানে সদর উপজেলার মডেল একটি সরকারি স্কুল।

সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়শ্রী সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট শিক্ষার্থী চাই। এ লক্ষ্যে আমার কাজ করে যাচ্ছি।  


তিনি বলেন, আমি যখন যোগদান করি, তখন স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল ৯০ জন। এখন স্কুলটিতে চার শতাধিক শিক্ষার্থীর রয়েছে। এসময় এ এলাকার মানুষ তাদের সন্তানদের কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পড়ানোর জন্য শহরে স্কুলে নিয়ে যেতেন। এমনকি আগে সন্তানের লেখাপড়ার কথা ভেবে গ্রাম ছেড়ে দিয়েছেন। এখন আর মানুষ গ্রাম ছাড়েন না। এলাকার ধনী বড়লোক ও শিল্পপতি পরিবারের সন্তানরা আমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করছে।  

স্কুলটি ভিজিট করলেই বুঝবেন এ স্কুলের শিক্ষকরা কতটা মনোযোগ ও মমতা দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করেন। তাছাড়া আমি স্কুলটিতে যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের ড্রেসকোডসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে অভূতপূর্ব পরিবর্তনের চেষ্টা করেছি। আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখন পড়াশোনার পাশাপাশি বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, স্কুলটিকে শ্রেষ্ঠ বানাতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন আমার সহকারী শিক্ষকরা। একই সঙ্গে যারা স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন, তাদেরও অবদান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।