ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অনুমতি ছাড়াই স্কুলের গাছ কাটার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
অনুমতি ছাড়াই স্কুলের গাছ কাটার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ: সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গয়হাট্টা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।  

মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকেলে ওই স্কুল চত্বরে থাকা ১২টি ইউক্যালিপট্যাস গাছ কেটে ফেলা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।  

অপরদিকে গাছের মূল শিকড় স্কুলের পার্শ্ববর্তী লোকজনের জমিতে ঢুকে পড়ায় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, গয়হাট্টা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষক কোনো রকম সরকারি নীতিমালা না মেনে অবৈধভাবে স্কুল চত্বরের মূল্যবান গাছ বিক্রি করে দিয়েছেন। ১৫ বছর আগে লাগানো গাছগুলোর বর্তমান মূল্য অন্তত এক লাখ টাকা।  

প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, গাছগুলো বড় হওয়ার পর পাশের জমিতে শিকড় ঢুকে গেছে। ওই জমির মালিকেরা এসব গাছ কেটে ফেলার জন্য বার বার প্রধান শিক্ষককে তাগিদ দেন। পরে বিষয়টি ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের জানালে তারা গাছগুলো বিক্রি করে উন্নয়ন কাজে ব্যয় করার জন্য রেজুলেশন দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪৫ হাজার টাকায় গাছগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।  

স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আল আমিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি গাছ কাটার কথা স্বীকার করেন বলেন, এসব গাছ বিক্রির টাকা স্কুলের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জ্বল হোসেনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, অবৈধভাবে গাছ কাটার ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক জানান, তিনি গাছের তদন্তের জন্য ইউএনওর নির্দেশনা পেয়েছেন। দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।