ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিলেটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসএসসির উত্তরপত্র পূরণের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
সিলেটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসএসসির উত্তরপত্র পূরণের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি 

সিলেট: এসএসসি পরীক্ষায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমসিকিউ ও এমআর উত্তরপত্র পূরণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
 
সোমবার (২২ মে) ঘটনাটি জানাজানির পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
 
কমিটির আহ্বায়ক গোয়াইনঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সদস্য হিসেবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন।
 
সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত অর্থনীতি/জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) এবং রোববার অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান/উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) বিষয়ের এমসিকিউ ও এমআর উত্তরপত্র পূরণের অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর অনৈতিকভাবে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার এমসিকিউ ও এমআর উত্তরপত্র পূরণ করছেন- এমন ভিডিও ফাঁস হয়ে গেছে। ভিডিওগুলো গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের।
 
জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে পার্শ্ববর্তী হাজী সোহরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। পরীক্ষা শেষে তাদের খাতা মূল কেন্দ্র তথা আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের দুইজন সহকারী শিক্ষকের যোগসাজশে দুইজন খণ্ডকালীন শিক্ষক পরীক্ষার্থীর এমসিকিউ ও এমআর উত্তরপত্র পূরণ করেন।
 
এমন অভিযোগের ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, পরীক্ষা শেষে আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কিছু পরীক্ষার্থী অবস্থান করছে। অফিসে একাধিক পরীক্ষার্থীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এক পরীক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে বাবু স্যারের সঙ্গে দেখা করতে বলেন এক শিক্ষক।
 
প্রায় ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুইজন শিক্ষক জীববিজ্ঞান পাঠ্যবই ও উত্তরপত্র দেখে দেখে এমসিকিউ ও এমআর উত্তরপত্র বৃত্ত ভরাট করছেন। দুই মিনিটের আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক পরীক্ষার্থীকে বিভাগ জিজ্ঞাসা করছেন এক শিক্ষক। আরেক পরীক্ষার্থীকে কেউ একজন ধমক দিচ্ছেন ও এমআর শিট ঠিক করে রাখতে দেখা গেছে একজনকে।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক কেন্দ্রের খাতা ঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়া হলেও আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের খাতা দেরিতে ডাক অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয়।
 
সন্দেহ হওয়ার পর গোপনে কে বা কারা কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। ওইসব ভিডিও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্নজনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ পেলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
 
এ বিষয়ে আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম মনিরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এখন এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
 
এ বিষয়ে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, ভিডিও ক্লিপ পাওয়ার পর রোববার রাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাই। তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটি তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২২৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৩
এনইউ/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।