ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হলে উঠলেন ফুলপরী, ক্লাস শুরু করবেন সোমবার

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
হলে উঠলেন ফুলপরী, ক্লাস শুরু করবেন সোমবার হলে ফুলপরী

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগী কর্তৃক র‌্যাগিংয়ের নামে টানা ৪ ঘণ্টা নির্যাতনের শিকার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ৫০১ নম্বর রুমে উঠেছেন।  

হলে ওঠার সময় আগামীকাল সোমবার ক্লাস করবেন বলে জানিয়েছেন ফুলপরী।

 

রোববার (১২ মার্চ) বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে বেলা ১২টায় ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। ক্যাম্পাসে পৌঁছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ওঠেন।

ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে এসেছি। প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। মেয়ে আজ থেকে হলেই থাকবে। আজ ক্লাস করার সুযোগ হয়নি। আগামীকাল থেকে ক্লাস শুরু করবে।

এর আগে উচ্চ আদালত থেকে পছন্দের হল বরাদ্দের নির্দেশের পর গত ৪ মার্চ (শনিবার) ক্যাম্পাসে এসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে ওই হলের একটি কক্ষে তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। হল বরাদ্দ দেওয়া হলে সেদিন বাড়ি ফিরে যান তিনি।

এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান বলেন, আবেদন করার পর সেদিনই একটি কক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওইদিনই কক্ষে কিছু মালামাল রেখে বাড়ি চলে যায় ওই ছাত্রী। আজ সে হলে উঠেছে। ক্যাম্পাসে এলে চিফ মেডিকেল অফিসারকে বলা হয়েছে তার স্বাস্থ্যগত বিষয় পরীক্ষা করতে।  হলে এলে যেন কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয় বিষয়টি দেখভাল করবো। আমি ওই কক্ষের অন্যদের ডেকে কথা বলেছি যেন ওর কোনো সমস্যা না হয়।

এদিকে, গত ১২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে প্রায় এক মাস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেননি নির্যাতনের শিকার ছাত্রী। এ সময়ে তার সহপাঠীরা নিয়মিত ক্লাস করলেও ভুক্তভোগীকে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াতে হয় নির্যাতনের বিচার পেতে। ফলে অন্যদের থেকে একাডেমিকভাবে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু হয়। দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে অতিথি হিসেবে উঠে ক্লাস শুরু করেন ভুক্তভোগী। পরে ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি নির্যাতনের শিকার হয়ে ১৩ তারিখ সকালে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ দিতে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এরপর তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য দিতে হল পছন্দ করতে কয়েক দফা ক্যাম্পাসে এলেও ক্লাসে ফেরা হয়নি তার।  

এ বিষয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান বলেন, আমরা ওই ছাত্রীর খোঁজ-খবর রাখছি। একাডেমিক কমিটির মিটিংয়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ওই ছাত্রী ক্লাসে এলে যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় না পড়ে এবং কোনো বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় এ নিয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া গত মাসে ক্লাসে অংশ না নিলেও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আমরা বিষয়টি দেখব।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।