ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নারীর কর্মসংস্থানে ৭৮ উপজেলায় বিউটি পার্লার-ফুডকোর্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
নারীর কর্মসংস্থানে ৭৮ উপজেলায় বিউটি পার্লার-ফুডকোর্ট

ঢাকা: বেকার ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের ৭৮ উপজেলায় বিউটি পার্লার, ফুডকোর্ট ও বিক্রয়কেন্দ্র করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য ৪২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যাক্তাদের বিকাশ সাধন’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়েছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বেকার ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা দেওয়া পাশাপাশি নারী সমাজকে মানবসম্পদে পরিণত করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুই লাখ ৫৬ হাজার নারীর দক্ষতা উন্নয়ন করবে জাতীয় মহিলা সংস্থা। ৮০টি কেন্দ্র বিশেষ করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ ৬৪টি জেলার ৭৮টি উপজেলা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠেয় একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আগের চেয়ে সব কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে। তাই নারীদের কাজের ধরণও পরিবর্তন হচ্ছে। ধীরে ধীরে নতুন ট্রেড যুক্ত করতে হবে। সেই জন্য উপজেলা পর্যায়ে বিউটি পার্লার স্থাপন করা হবে। বিউটি পার্লার ইউনিয়ন পর্যায়ে চলে। গ্রাম পর্যায়েও এখন ফর্মাল অনুষ্ঠান হয়। সুতরাং বিউটি পার্লারের চাহিদা রয়েছে।

জাতীয় মহিলা সংস্থা সূত্র জানায়, নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিপণনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রকল্পের উদ্যোগে ৮০ টি বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এছাড়া উপজেলায় ৮০টি ফুডকোর্ট এবং ৮০ টি বিউটি পার্লার স্থাপন করে ১ হাজার ৬০০ জন নারী উদ্যোক্তাকে স্থায়ীভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা হবে। নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিপণনে সহায়তার লক্ষ্যে একটি ক্রয়-বিক্রয় সফটওয়্যার তৈরি করা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সব প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে একটি ডাটাবেজ সফটওয়্যার তৈরি করা। প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি নারী সমাজকে মানবসম্পদে পরিণত করে তুলতে সহায়ক হবে বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হওয়ায় সরকারি খাতে উন্নযন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন সংক্রান্ত সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
এমআইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।