ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছোট কারখানার প্রণোদনার আবেদন আরও সহজ করতে হবে: সিপিডি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
ছোট কারখানার প্রণোদনার আবেদন আরও সহজ করতে হবে: সিপিডি

ঢাকা: ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনার আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে হবে। সদস্য নয় এমন কারখানাগুলোকে অনতিবিলম্বে অ্যাসোসিয়েশনের সদ্যস্যভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে কমপ্লায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করতে হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিইডি) ম্যাপড ইন বাংলাদেশ (এমআইবি) আয়োজিত “কোভিড-১৯ বিবেচনায় পোশাক খাতে দুর্বলতা, সহনশীলতা এবং পুনরুদ্ধার: জরিপের ফলাফল” শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে এসব কথা বলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর দায়িত্ব নিয়ে সামনে এসে শ্রমিকদের তালিকা সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। কারাখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকে আরও জোর দিতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতের ভবিষ্যতের বিকাশের জন্য ভ্যালু চেইনের বিভিন্ন বিভাগে আরও বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) বিবেচনা করা উচিত।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী পোশাক খাতটি কোভিড-১৯-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাচ্ছে। যদিও সরকার ঘোষিত প্রণোদনার কারণে এ চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণে কারখানাগুলো কাজ করে যাচ্ছে। এ খাতের পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াটির ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ছোট, পোশাক সংগঠনের সদস্য নয় এমন এবং নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কারখানাগুলোতে অধিক পরিমাণ সমস্যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঋণ প্রাপ্তির জটিলতার কারণে বেশিরভাগ ছোট কারখানাগুলো ঋণের জন্য আবেদন করেনি। ৯০ শতাংশ বড় কারখানার বিপরীতে মাত্র ৪০ শতাংশ ছোট কারখানা এ আবেদন করে। অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কারখানাগুলো অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণ ও ব্যাংকের আমানতের ওপর বেশি নির্ভরশীল ছিল।

সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। তিনি সিপিডি ও এমআইবি-এর গবেষণার কথা উল্লেখ করে বলেন, মোট ৬১০টি পোশাক কারখানায় এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়। এর ফলে কোভিড-১৯ বিবেচনায় পোশাক খাতে দুর্বলতা, সহনশীলতা এবং পুনরুদ্ধারকে বিশ্লেষণ করা সহজতর হবে। এ গবেষণার মাধ্যমে পোশাক খাতকে পুনরুদ্ধারে মধ্যমেয়াদি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

সংলাপে সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি শ্রমিকদের জন্য একটি সামাজিক সুরক্ষা বীমারও প্রস্তাব করেন, যেখানে মালিক, শ্রমিক, সরকার, ক্রেতা এবং উন্নয়ন অংশীদাররা অংশ নেবে।

সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য (এমপি) শিরীন আখতার, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, মিসামি গার্মেন্টস ও বিজিএমইএ-এর পরিচালক মিরান আলী, সিইডি উপদেষ্টা অধ্যাপক রহিম বি তালুকদার ও এমআইবির প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ হাসিবুদ্দিন হাসিব।  

সংলাপে সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মতামত তুলে ধরেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এসই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।