ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রেতার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিলেন মাশরাফি

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
ওয়ালটন ফ্রিজ ক্রেতার হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দিলেন মাশরাফি

ঢাকা: চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ । এর আওতায় ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’ অফারে ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন ধামরাইয়ের নাসির হোসেন। 

সম্প্রতি গাড়িচালক নাসিরের হাতে ওই ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

অনলাইনে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন।

এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর ও ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ফ্রিজ ক্রেতাদের ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারের সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে নাসিরের হাতে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি বিন মুর্তজা। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আলমগীর আলম সরকার, ডেপুটি ডিরেক্টর জহিরুল ইসলাম ও রেফ্রিজারেটরের ব্র্যান্ড ম্যানেজার জীবন আহমেদ প্রমুখ।

নাসির জানান, তিনি গুলিস্তান-ধামরাই রুটের ডি-লিংক পরিবহনের গাড়ি চালান। বাবা-মা, স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে সাত সদস্যের পরিবার। ধামরাই ওয়ালটন প্লাজা থেকে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ২৪৪ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। ওই টাকায় আরেকটি ফ্রিজ ও একটি এলইডি টেলিভিশন কিনেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ওয়ালটন পণ্য ভালো সার্ভিস দেয়। আমার ছোট ভাই এক বছর আগে ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনেছে। তার পরামর্শে আমি ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনি। এরপর ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়ে আমরা খুবই খুশি। আরও ভালো লাগছে মাশরাফির মতো ক্রিকেটারের হাত থেকে সেই ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি। তার সঙ্গে ছবি তুলেছি। আবার ওয়ালটন ফ্রিজের কারখানাও দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ফ্রিজে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। দেওয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এর সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য ও কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।

দেশজুড়ে ওয়ালটনের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। ক্রেতারা চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ থেকে পছন্দের পণ্যটি কিনতে পারছেন। এসব ফ্রিজের দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতেও ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (eplaya.waltonbd.com) থেকে ফ্রিজসহ সবধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তি ও অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক রয়েছে।

ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসারে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭২টি সার্ভিস পয়েন্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
পিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।