ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
‘টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে’

ঢাকা: ‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে সঙ্গে বনভূমি ধ্বংস করে, মানবদেহের ক্ষতি করে, শিশুশ্রমকে উৎসাহিত করে, এমন ও মাদকখাতে বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন।’

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিন্যান্টালে ‘ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্সিং ফর এসডিজি ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক এক সেশনে এসব কথা বলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মো. মির্জা আজিজুল ইসলাম।  

‘দ্য এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্স অন ফাইন্যান্সিং ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এই আয়োজন করা হয়।

মির্জা আজিজুল ইসলাম জানান, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে চাইলে দুই দিকে গুরুত্ব দিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। প্রথমত, কিছু ক্ষেত্রকে বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎসাহিত করতে হবে; দ্বিতীয়ত, কিছু ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে হবে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এমন ক্ষেত্রগুলোতে বিনিয়োগ করতে হবে যেন একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষও তাতে যুক্ত হতে পারে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীদের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা, পণ্যে বৈচিত্রতা আনাসহ প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে। একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন অর্থনীতিতে যুক্ত হতে পারে, সেই ধরনের অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

‘এছাড়া মাদকখাতে, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ক্যামিকেল উৎপাদন করে, শিশুশ্রমকে উৎসাহিত করে, শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করে না ও বনভূমিকে ধ্বংস করে, এমন খাতে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করা প্রয়োজন,’ যোগ করেন তিনি।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে কাজ করছি।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে অবকাঠামো, গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়াসহ শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

এসময় আরও কথা বলেন কম্বোডিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার বুন চান্থি, শ্রীলঙ্কার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বান্দুলা গুনাওয়ারডেনা, নেপালের জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. পুষ্প রাজ কাদেল এবং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মো. আলী তসলিম। এই সেশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েকশ’ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এমআইএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।