ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ন্যায্য মজুরি-সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির আহ্বান মন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
ন্যায্য মজুরি-সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির আহ্বান মন্ত্রীর বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান/ ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেওয়া এবং কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে দেশের শিল্পপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। 
 

রোববার (২০ জানুয়ারি) তৈরি পোশাক শিল্প পণ্যের আর্ন্তজাতিক প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
 
এমএ মান্নান বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি এবং যাতে তারা কাজের উপযুক্ত পরিবেশ পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা সবাই সচেতন।

এই কাজে উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিরাও সহায়তা করতে পারেন। দেশের শ্রমিকদের জন্য একটি সভ্য, সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ শিল্পপতিরা তৈরি করবেন, এটাই আমাদের আশা।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শ্রম রপ্তানি করেই আমরা আমাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছি। একটি কাঁ‍চা শ্রম আরেকটি প্রক্রিয়াজাত। সুতরাং শ্রম রপ্তানির বাজারগুলো ধরে রাখার জন্য আমাদের সরকার সব ধরনের নীতি সহায়তা অবশ্যই দিয়ে যাবে। এটা আমাদের দায়বদ্ধতা, জাতির প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। আমাদের উল্লম্ফনের যে শুরু হয়েছে, সেটি জোরদার করতে চাই।
 
মন্ত্রী বলেন, পোশাকখাতের শিল্পপণ্যের মানোন্নয়নে আমরা আপনাদের সঙ্গে কাজ করবো। যেসব সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করা হবে। এই খাতের উন্নয়নে যেগুলো বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেগুলোও দূর করতে হবে।
 
এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ যেসব জায়গায় হোঁচট খাওয়ার মত অবস্থা আছে, সেখানে আপনাদের সঙ্গে আমি আছি। বিষয়গুলো সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব দূর করার চেষ্টা করবো, বলেন মন্ত্রী।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আহমেদ জামাল বলেন, তৈরি পোশাকখাত রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পোশাকখাতের এক্সেসরিজ আগে আমদানি নির্ভর ছিল। রপ্তানি বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব পড়তো। এখাত পোশাকখাতের উপকরণের আমদানি নির্ভরতা কমিয়েছে। এখন রপ্তানিমুখি হয়েছে। ২০২১ সালে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সহায়তা করবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন মন্ত্রী 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সুলতান মো. ইকবাল বলেন, বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও দেশের গার্মেন্টস খাত ভালো করবে। কারণ এখানে নারী শ্রমিক পাওয়া অনেক সহজ। পোশাক খাতের এক্সেসরিজ প্রতিষ্ঠানের রপ্তানির সম্ভাবনাও ভালো। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিদেশির‍া আমাদের গার্মেন্ট এক্সেসরিজ উৎপাদনকারীদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে পারছেন। অভিজ্ঞতা বিনিময় হচ্ছে। এই খাতের সহায়তা আগামী একমাসের মধ্যে বন্ড রিলেটে এসওপি জারি করার চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
 
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রর্দশনী আয়োজন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মেয়াজ্জেম হোসেন মতিন।
 
সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন’র (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি আব্দুর কাদের খান।
 
দেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে মেশিনারি, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং এবং প্রিন্টিং মেশিনারিজ অ্যান্ড টেকনোলজি নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আইসিসি বসুন্ধরার ১০টি হলজুড়ে প্রদর্শনীগুলোতে ২৪টি দেশের ৫১০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। চারদিনের এই প্রদর্শনী শুরু হয় ১৭ জানুয়ারি, যা শেষ হয় সোমবার।
 
জাকারিয়া ট্রেড আ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আসক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) সম্মিলিতভাবে প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।