ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাকশিল্পের অগ্রগতি হয়েছে: মরিয়ার্টি

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
পোশাকশিল্পের অগ্রগতি হয়েছে: মরিয়ার্টি জেমস এফ মরিয়ার্টি

ঢাকা: গত পাঁচ বছরে অ্যালায়েন্স আমাদের সদস্য ব্র্যান্ডগুলো ও অ্যালায়েন্স-অধিভুক্ত কারখানার মালিকরা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপত্তা উন্নয়নে অভাবিত অগ্রগতি অর্জন করেছে। একইসঙ্গে সহায়তা করেছে পোশাক রপ্তানিতে সারা বিশ্বে নেতৃত্বের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে।

পঞ্চম ও চূড়ান্ত বর্ষে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটির নিরাপত্তা ফলাফল নিয়ে এক প্রতিবেদনে অ্যালায়েন্স এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি একথা বলেন।  

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি পোশাকশিল্প নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।



প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যালায়েন্স-অধিভুক্ত কারখানাগুলো জুড়ে ৯৩ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হয়েছে– যার ভেতর জীবনের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এমন ৯০ শতাংশ আইটেমের সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৪২৮টি অ্যালায়েন্স-অধিভুক্ত কারখানা তাদের সংশোধনী কর্ম পরিকল্পনায় (ক্যাপ) উল্লেখিত সমস্ত মেরামত কাজ সম্পন্ন করেছে।

প্রায় ১৬ লাখ শ্রমিক অগ্নিকাণ্ডের জরুরি মুহূর্তে নিজেদের কীভাবে রক্ষা করতে হবে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। অ্যালায়েন্স অধিভুক্ত কারখানাগুলোর বাইরে অন্য কারখানাগুলোতে এই প্রশিক্ষণের বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে অ্যালায়েন্স একটি স্থানীয় প্রশিক্ষণ অংশীদার গঠন করেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২৮ হাজার সিকিউরিটি গার্ড অগ্নি নিরাপত্তা ও জরুরি ভবন ত্যাগ প্রক্রিয়া বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়েছে। ১৫ লাখেরও বেশি শ্রমিক বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা চালু গোপন শ্রমিক হেল্পলাইন ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে, যা একটি স্থানীয় সংস্থা ফুলকির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৮১টি শ্রমিক সেফটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, এর ফলে শ্রমিকরা ম্যানেজমেন্টদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসে তাদের কারখানার নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপেলক্ষে জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেন, পোশাকশিল্পের অগ্রগতি বজায় রাখতে অবশ্যই একটি চলমান প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের সদস্য ব্র্যান্ডগুলোর কাছে অ্যালায়েন্স চলে যাওয়ার পর বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।  

ঢাকার মার্কিন দূতাবাস অ্যালায়েন্সের এ অর্জনের ব্যাপক প্রশংসা করেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, মার্কিন দূতাবাস কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও শ্রমিক ক্ষমতায়নে ব্র্যান্ডগুলোর এই প্রচেষ্টার প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।