ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বিমসটেক ট্রেড নেগোসিয়েশনকে কার্যকর করতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
‘বিমসটেক ট্রেড নেগোসিয়েশনকে কার্যকর করতে হবে’ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

ঢাকা: আঞ্চলিক বাণিজ্যে বিমসটেক (বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভস ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) ট্রেড নেগোসিয়েশনকে আরো কার্যকর করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

রোববার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিমসটেক ট্রেড নেগোসিয়েটিং কমিটির ২১তম সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।  

তোফায়েল আহমেদ বলেন,  আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট অফ দ্য বিমসটেক-এফটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে ২০০৪ সালে। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন বেশ পরিচিত নাম। আঞ্চলিক বাণিজ্যে বিমসটেকের গুরুত্ব অনেক বেশি। আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্যে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিস্ট সবাই লাভবান হতে পারে।

তিনি বলেন, বিমসটেক-এর মাধ্যমে বাণিজ্যে ১৪টি সেক্টরে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ জন্য ৬টি ওয়ার্র্কিং গ্রুপও গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত বসে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের তিনটি শর্ত একসঙ্গে পূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার প্রথম ধাপ অতিক্রম করেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।

এর তিন বছর পর বাংলাদেশ আর এলডিসিভুক্ত দেশের সুযোগ-সুবিধা পাবে না উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশ তখন বিভিন্ন দেশের সাথে এফটিএ করে বাণিজ্য সুবিধা সৃস্টি করবে। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ ২৫টি পণ্য ৬৮টি দেশে রপ্তানি করে আয় করতো ৩৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গতবছর বাংলাদেশ ২০২টি দেশে ৭৪৪টি পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেবা খাতের রপ্তানিসহ বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে দেশের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ  করা হয়েছে ৪৪ ডলার মার্কিন ডলার। দেশের বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ ভাগ।
                                               
সভায় বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডের ৩৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। রুলস অফ অরিজিন, ট্রেড ইন সার্ভিস, ইনভেস্টমেন্ট, লিগ্যাল এক্সপার্ট, কাস্টমস কো-অপারেশন, ট্রেড ফেসিলিটেশন এর বিষয়ে ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো কাজ করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল মো. মহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।