ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইউরোপের বিআরসি সনদ পেয়েছে প্রাণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৮
ইউরোপের বিআরসি সনদ পেয়েছে প্রাণ প্রাণ গ্রুপের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানিতে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম (বিআরসি) সনদ অর্জন করেছে প্রাণ গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেড ও নাটোর অ্যাগ্রো লিমিটেড।

এ সনদ অর্জন করায় প্রাণ গ্রুপ উৎপাদিত গুঁড়া মসলা, সরিষার তেল, নুডলস ও সস ইউরোপের বাজারে বিক্রি করতে আর কোনো বাধা রইলো না। বর্তমানে ইউরোপের বাজারে ৭০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হলেও সনদ অর্জনের ফলে রপ্তানির পরিমাণ দুই-তিন গুণ বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা।

সোমবার (৮ অক্টোবর) প্রাণ গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা।

তিনি বলেন, প্রাণ সব সময় পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ধাপে গুণগত মান বজায় রেখে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিআরসি সনদ অর্জন করার মাধ্যমে ভোক্তার প্রতি আমরা কতটুকু দায়বদ্ধ তা আরেকবার প্রমাণ হলো।  

ইলিয়াছ মৃধা বলেন, প্রাণের মসলা বর্তমানে বিশ্বের একশোটির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিআরসি সনদ না থাকায় ইউরোপের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে নানা রকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই সনদ অর্জনের ফলে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের পণ্য পৌঁছে দিতে পারবো।

বিআরসি সনদ হচ্ছে, একটি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান, খাদ্য নিরাপত্তা এবং উৎপাদনের প্রতিটি ধাপে কমপ্লায়েন্স মেনে চলার নির্দেশনা পূরণ করে। ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিআরসি সনদকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ইলিয়াছ মৃধা বলেন, এই সনদ অর্জনের ফলে প্রাণের পণ্য রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে।  ইউরোপ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে প্রাণ গ্রুপ। বিআরসি সনদ পাওয়ার ফলে, ইউরোপের চেইন সুপার ‘অ্যাকশন’ এর দেড় হাজারের বেশি আউটলেটে প্রাণের পণ্য বিক্রি হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াছ মৃধা বলেন, একমাস আগে এই সনদ পাওয়ার খবর জানানো হলেও ২৭ সেপ্টেম্বর আমরা হাতে পেয়েছি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রাণ গ্রুপের পণ্য নিয়ে প্রকাশিত নেতিবাচক খবর সম্পর্কে প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, একটি বিশেষ মহল বিশেষ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এসব করে যাচ্ছে। আমরা সারাদেশের ৮৫ হাজার কৃষকের কাছ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাত করছি। প্রাণ গ্রুপের ১লাখ ১০ হাজার কর্মীবাহিনীর মাধ্যমে সবসময় মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালন শেখ সাজ্জাদ হোসেন, নাটোর অ্যাগ্রো লিমিটেডের ডিজিএম তানভীল হাসান, মিস্টার নুডলস’র হেড অব মার্কেটিং তোষণ পাল ও প্রাণ গুঁড়া মসলার ব্র্যান্ড ম্যানেজার মাহামুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।