ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে শীতের সবজি আছে, ক্রেতা নেই

শরীফ সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৮
বাজারে শীতের সবজি আছে, ক্রেতা নেই রাজশাহীর সবজির বাজার-ছবি-বাংলানিউজ

রাজশাহী: আশ্বিন শেষ হতে চললেও শীতের পরশ নেই রাজশাহীতে। ওষ্ঠাগত গরমে অসহনীয় হয়ে উঠেছে নগরজীবন। তবে কাঁচাবাজারে ধীরে ধীরে শীত নামছে। এরইমধ্যে শীতকালীন নানা সবজিতে ভরে উঠতে শুরু করেছে বাজারের ডালি। তবে দাম তুলনামূলক বেশি। 

বাজারভেদে এর দামেরও হেরফের রয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজিগুলো বাজারে নতুন ওঠার সময় দাম একটু বেশিই রাখা হয়।

কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বলে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। তবে শীত বাড়তে থাকলে সবজির সরবরাহও বাড়ে। তখন দামও কমে।

শুক্রবার (৫ অক্টোবর) সকালে মহানগরীর সাহেববাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, বরবটি, পালং শাক, জলপাই ও গাজরসহ শীতকালীন রঙিন সবজির পসরা।

মহানগরীর সাহেববাজার এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, এক সপ্তাহ থেকে শীতকালীন সবজির সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে দাম একটু বেশি। বাজারে বর্তমানে মূলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, জলপাই ৬০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি ও পুদিনা পাতা ২০০ টাকা কেজি দরে

রাজশাহীর সবজির বাজার-ছবি-বাংলানিউজএছাড়া বাজারে কচু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, চাল কুমড়া রকমভেদে প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা, ঢেড়স ২০ থেকে ৩০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ২০-২২ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা এবং লেবু বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ১৫ টাকায়।

সাহেববাজারে শাক বিক্রেতা শফিকুল জানান, পালং শাক নতুন উঠছে। তাই দাম একটু বেশি। বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে এই শাক বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে, সবুজ শাক ২০, পুঁই শাক ২০ টাকায়, কলমি শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কচুর শাক ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করেত আসা সুলতানাবাদ এলাকার আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে শীতের সবজি উঠলেও দাম চড়া। তাই আপাতত দেখেই তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। শীত পড়লে এসব সবজির দাম কমে আসবে তখন কেনা যাবে। এখন দাম-দর করা ছাড়া নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন আরিফুল।

রাজশাহীর সবজির বাজার-ছবি-বাংলানিউজএদিকে, বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা, আদা ১০০ টাকা ও রসুন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কাঁচা মরিচের দাম ২/৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ বা তারও বেশি হয়ে গেছে। দু’দিন আগেই কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে অথচ শুক্রবার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।  

তেলের বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৯৫-১০৫ টাকা, বোতলজাত সরিষা তেল ১৪৫-১৫০ টাকা ও খোলা বাজারে সয়াবিন ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০-৯০ টাকা, মুগডাল ৮০-১২০ টাকা, কলাইয়ের ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ টাকা ও মটর ডাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্থিতিশীল রয়েছে মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৫০ টাকা, খাসি ৭০০ টাকা, ব্রয়লার ১২০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৬০ টাকা, সোনালি ১৯০-২১০ টাকা ও পাতিহাঁস ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে প্রকারভেদে সিলভার ৮০-১৪০ টাকা, পাঙ্গাশ ৮০-১২০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, বাটা ১২০-১৪০ টাকা, বড় শোল ৯০০ টাকা এবং ছোট শোল ২০০-৬০০ টাকা, ট্যাংরা ও পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই মাছ রকমভেদে ১৬০-৩৫০ টাকা, শিং ৫০০-৮০০ টাকা ও ইলিশ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নতুন ধান উঠতে শুরু করায় চালের দাম মোটামুটি অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে মিনিকেট চাল ৫০-৫৫ টাকা, আটাশ ৪২-৪৫ টাকা, জিরাশাইল ৫০ টাকা, বাসমতি ৬৫-৭০ টাকা, পায়জাম ৪৫-৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০-৬৫ টাকা, কাটারিভোগ ৭৫-৮০ টাকা, স্বর্ণা ৪০ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৩৮ টাকা, কালজিরা আতপ ৮০-৯০ টাকা, চিনিগুঁড়া আতপ ৯০ টাকা ও পায়জাম আতপ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
এসএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।