ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সাপ-বানরকে দেখে শিশুরা বেজায় খুশি

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৮
সাপ-বানরকে দেখে শিশুরা বেজায় খুশি মেয়েকে বিষধর সাপ চেনাচ্ছেন একজন বাবা। ছবি: কাওছার উল্লাহ আরিফ

বগুড়া: গুণে গুণে ছয়টি কাঁচের ঘর। তারমধ্যে নানা প্রজাতির বিষধর সাপ। কখনও কখনও ফনা তুলে ফস ফস করছে। আবার কখনও শান্ত হয়ে কুণ্ডলির মত দেহ পাকিয়ে সেই কাঁচ ঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছে। কাঁচ ঘরের সামনে দিয়ে বেড়া দেওয়া হয়েছে দূরত্ব বজায় রাখতে।

নির্ধারিত ২০টাকায় টিকিট কেটে দর্শনার্থীরা মিনি চিড়িয়াখানা ও জাদু প্রদর্শনী দেখতে ভেতরে প্রবেশ করছেন। চিড়িয়াখানায় রাখা নানা প্রজাতির জীবজন্তু দেখছেন পাশাপাশি সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করছেন।

শুক্রবার (০৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বগুড়ায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম সংলগ্ন মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী ১১তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। পাখির খাঁচার সামনে বাবা ও মেয়ে।                                          ছবি: কাওছার উল্লাহ আরিফএকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন খাদেমুল ইসলাম। ব্যস্ততা ও সময়ের কারণে তিনি পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। তাইতো ছুটির দিনে স্ত্রী, দু’শিশু সন্তান নিয়ে চলে এসেছেন মেলায়।

খাদেমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ইচ্ছে থাকলেও সময়ের অভাবে স্ত্রী ও সন্তানদের ঘোরাঘুরির জন্য তেমন একটা সময় দেওয়া হয় না। যতটুকু পারি তা শুধু ছুটির দিন। তাই আসল চিড়িয়াখানায় যাওয়া অনেকটা স্বপ্নের মত মনে হয়। সেই স্বপ্ন পূরণে মেলায় এসে মিনি চিড়িয়াখানায় আসা। খুব বেশি না হলেও ভয়ঙ্কর নানা প্রজাতির বিষধর সাপগুলো মনে বেশ দাগ কেটেছে’ যোগ করেন খাদেমুল ইসলাম। বানরের খাঁচার সামনে দর্শনার্থীদের ভিড়বাবা আমিনুল ইসলাম তার ছোট শিশু শুভকে নিয়ে ময়না পাখি দেখাচ্ছিলেন। ছেলেকে বলছিলেন, ‘সোনা ময়না পাখি কথা কয়। তুমি ওকে ডাকতে থাকো। তোমার ডাক শুনতে পারলেও ময়না আওয়াজ দেবে। কিন্তু বয়সে বেশি ছোট হওয়ায় শিশুটি পাখিটিকে ভালভাবে ডাকতে পারছিলেন না। তবে বাবা-ছেলে ময়না নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ আনন্দ উপভোগ করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মিনি চিড়িয়াখানার প্রবেশ পথেই রাখা নানা প্রজাতির বিষধর সাপগুলো। এরমধ্যে রয়েছে গোখরা, কিংকোবরা, দুধরাজ, কেওটা। একইভাবে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে ময়না, কবুতর, টিয়া, ঘুঘু, ময়ূর, কাঠবিড়ালী, টার্কি পাখি, খরগোশ ও বানর। এসব জীবজন্তু রাখতে নেট জালের চার কোণাকৃতি খাঁচা তৈরি করা হয়েছে।

টিকিট কেটে দলে দলে মানুষ প্রবেশ করছেন আর মিনি চিড়িয়াখানায় রাখা জীবজন্তু দেখছেন। বিশেষ করে ছোটরা এসব দেখে ব্যাপক হৈচৈ করে আনন্দ উল্লাস করছিল। মেলায় মিনি চিড়িয়াখানার জীবজন্তু দেখছেন দর্শনার্থীরা। সাবির ও মোস্তফা নামে দু’শিশু সম্পর্কে ভাই বাংলানিউজকে জানায়, সাপ ও বানর তাদের ভীষণ আনন্দ দিয়েছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে মেলার আসার পর প্রথমে তারা এখানে আসে। এরপর পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে ঘুরে দেখে। তারপর বাবা-মায়ের সঙ্গে মেলায় ভেতরটা দেখতে ঘুরতে বেরুবো ওরা জানায়।

এর আগে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করা হয়। বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির আয়োজনে এবং বেনারসি গ্লোবাল ইভেন্টস লিমিটেডের সার্বিক সহযোগিতায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এমবিএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।