ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজার দর ফের নাগালের বাইরে 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৮
বাজার দর ফের নাগালের বাইরে  ফের দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: সবজির দাম এখনও বেশি রয়ে গেছে। চাল ও পেঁয়াজের উচ্চমূল্য তো এখন স্থায়ী হয়ে গেছে। আর মাস দুয়েক পর রমজান শুরু হবে। রমজানের আগেই বাজার দরের এ অবস্থা, তাহলে শুরু হলে কি হবে! বাজার দর এখন আমাদের হাতের নাগালের বাইরে।

শুক্রবার (৯ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা ক্রেতা রবিউল আলম বাংলানিউজকে কথাগুলো বলেন।

রবিউলের কথার সত্যতা মিললো বাজার ঘুরে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি।  গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজির দাম আবারও বেড়েছে।  

অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ ও চালের দাম দীর্ঘ সময় ধরে ক্রেতাদের মাথা ব্যথার মূল কারণ।  

সর্বশেষ খুচরা মূল্য অনুযায়ী, চালের বাজার দর, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৩ টাকা, ১ নম্বর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, সাধারণ মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা,  বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা ও স্বর্ণা এবং পারিজ ৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছ।

অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরামূল্য অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কেজি প্রতি আমদানি করা রসুন দাম বেড়ে ১০০ টাকা ও দেশি রসুন ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিনি ৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৭০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

ফের দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের-ছবি-বাংলানিউজক্রেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, হাতেগোনা কয়েকটি পণ্যই ক্রেতাদের নাগালে, আর বাকি সব নাগালের বাইরে।

অনেক ক্রেতা রমজান মাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেড় মাস পরে রমজান মাস শুরু হবে। আর এখনই যদি চিনি ৬০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা ও আদা ১০০ টাকা হয়, তাহলে রমজান মাসে এসব পণ্যের দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।

ধানমন্ডি ১৫ নম্বর কাঁচাবাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা ক্রেতা মিজান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, চাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ অধিকাংশ পণ্যেই ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এখন যদি এ অবস্থা হয় সামনে তো আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের দোকানি মিলন বাংলানিউজকে বলেন, চাল ও পেঁয়াজের দাম কেন বেশি এটা সবাই জানে। তবে চিনি, আদা ও রসুনের দাম বেশি কিনা স্বাভাবিক তা বলতে পারবো না। তবে আগামীতে এসব পণ্যের দাম বাড়বে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন। কারণ, আর কিছুদিন পরে তো রোজার মাস শুরু হবে।

এদিকে সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি টমেটো ১০-১৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি জোড়া বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক ৩ আটি ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

তবে প্রতি কেজি ঢেরস ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা,  শশা ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে যা স্বাভাবিক দামের থেকে বেশি বলেই ক্রেতারা মনে করছেন।

অন্যদিকে মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। মাছের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙাশ  ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা,  মার্চ ০৯, ২০১৮
এমএসি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।