ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এসিআই সম্মাননা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৮
এসিআই সম্মাননা  এসিআই সম্মাননা 

ঢাকা: উদ্যোক্তা, স্বাস্থ্য সেবা, শিল্প ও সংস্কৃতি, খেলাধুলা, কৃষি, সামাজিক অবদান এবং বিজ্ঞান ও প্রযক্তিতে অসামান্য অবদান রাখায় দেশের সম্ভাবনাময় ৯ জন তরুণ-তরুণীকে সাত ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দিয়েছে এসিআই গ্রুপ।

শনিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে এসিআই গ্রুপের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে “দুঃসাহসী বাংলাদেশ” ক্যাম্পেইনের আওতায় এই সম্মাননা দেওয়া হয়। দেশের তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ দিতেই এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছে এসিআই গ্রুপ।


 
সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন; মধ্যে উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে পাঠাও, স্বাস্থ্য সেবায় ‘মায়া আপা’, আর্ট এন্ড কালচারে অং রাখাইন, খেলাধুলায় মাবিয়া আক্তার, কৃষি প্রযুক্তিতে ‘অগ্র’, সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ‘ইউথ অপরচুনিটি প্লাাটফরম’, বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে ব্র্যাক ন্যানো স্যাটেলাইটের উদ্ভাবকগণ।
 
উদ্যোক্তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত, প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী, এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা, জেষ্ঠ্য আইনজীবি ব্যারিস্টার রফিকুল হক, ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান, এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী প্রমুখ।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসিআইর পণ্যের প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২৫ বছর আগে বা তারও কিছু আগে এদেশ থেকে চলে গেছে। আইসিআই। আমি তখন থেকেই একটি প্রডাক্ট ‘মসকুইটো কিলারের’ ক্রেতা ছিলাম। ২৫ বছর আগে এসিআই শুরু করার পর থেকে এখনো আছি। কারণ তাদের প্রডাক্টের মানটা ঠিকঠাক রয়েছে এখনো।
 
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি নতুন নতুন একেকটা কাজ করেই যাচ্ছে। এছাড়া কৃষিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি, বীজসহ অন্যান্য পণ্যেরও প্রসংসা করেন তিনি। শুধু এসিআই নয়, অনেক কোম্পানিই রয়েছে যারা দেশকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এদেরকে নিয়েই আমরা নতুন এগিয়ে যাচ্ছি। কারণ এরাই অনেক ভালো কিছু করছে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য।
 
এসিআই সম্মাননা মুহিত বলেন, আগামী ২২ মার্চ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ঘোষণা আসবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকা থেকে বের হতে যাচ্ছি। ঘোষণাটা ২২ তরিখ আসতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশের যে যোগ্যতা সেটা অর্জন করেছি। যদিও জাতিসংঘের কাছ থেকে সর্বশেষ অনুমোদন দেয়া হবে ২০২৪ সালে। কারণ আমাদের এই অবস্থাটা ধরে ঐ সময় পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে।
 
এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা বলেন, এসিআইয়ের বৈশিষ্ঠ্যই হচ্ছে মান এবং সততা। এটা সব সময়ই থাকবে। আমরা ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময়টা পার করেছি। কিন্তু এসিআই সবসময়ই মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে সেবা এবং পণ্যের মাধ্যমে। এ সময় তিনি তার ব্যবসায়িক জীবন শুরুর আগের অভিজ্ঞতার কথা বর্ননা করেন।  
 
স্বাগত বক্তব্যে এসিআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফ দৌলা বলেন, ‘আমরা যখন যেখানে ঠিক যে প্রযুক্তিটি দরকার সেটাই ব্যবহার করেছি এবং করছি। হাস-মুরগির বার্ড ফ্লুর ভ্যাক্সিনে এসিআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যা কিনা অটোমেটিক মেশিনের মাধ্যমেই দেয়া হয়।  

কৃষিতে ফসল কাটার আধুনিক প্রযুক্তির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে বিভিন্ন সমস্যায় ঠিকমত ফসল কাটতে পারি না। ফলে অনেক ফসলের অপচয় হয়। এটা রোধে আমরা আধুনিক যন্ত্র নিয়ে এসেছি।  

এসময় এসিআই গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।  

শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সমাপনী বক্তব্য দেন এসিআই ফর্মুলেশনস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুস্মিতা আনিস।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ঘণ্টা, মার্চ: ৪, ২০১৮
এসই/এসআইএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।