ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টার্কির খামার করে স্বাবলম্বী বদরগঞ্জের পাপ্পু-রাকিব

সাইফুর রহমান রানা, ডিভিশনাল স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
টার্কির খামার করে স্বাবলম্বী বদরগঞ্জের পাপ্পু-রাকিব খামারে টার্কি কোলে রাকিব। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: পরিশ্রম, সততা আর অদম্য ইচ্ছা শক্তিই যে মানুষকে তার স্বপ্নের চূড়ায় নিয়ে যেতে পারে তার উদাহরণ বদরগঞ্জের দুই বন্ধু মাসুদ পারভেজ পাপ্পু (৩৫) ও মো. রাকিব (৩৬)। টার্কির খামার করেই তারা আজ স্বাবলম্বী।

পাপ্পুর বাড়ি পৌরশহরের বালুয়াভাটা ও রাকিবের চাঁদকুঠি মহল্লায়। সরেজমিনে চাঁদকুঠি মহল্লায় রাকিবের খামারে গিয়ে দেখা যায়, রাকিব একটি বড় টার্কি কোলে নিয়ে পরম মমতায় আদর করছেন।

এ দৃশ্য দেখে অন্য টার্কিরা আনন্দে পেখোম তুলে নাচছে। পাশে দাঁড়িয়ে দেখছেন খামারি বন্ধু পাপ্পু।  

রাকিব জানান, আমি টার্কি পালনের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে বদরগঞ্জে প্রথম খামার করি। আমার খামার দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার বন্ধু পাপ্পুসহ বদরগঞ্জে আরও তিনজন খামার গড়ে তোলেন।

‘চীন হতে লেখাপড়া শেষ করে দেশে এসে একটি বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি করি। কিন্তু চাকরি আমার ভালো লাগেনি। তাই আমি বাড়িতে এসে টার্কির খামার গড়ে তুলি। ’

তিনি জানান, টার্কি পালন বেশ লাভজনক। আমি মনে করি, বেকার যুবকরা অহেতুক সময় নষ্ট না করে নিজেদের পছন্দমতো বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এতে তারা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

অপর টার্কি খামারি পাপ্পু জানান, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বদরগঞ্জ বাজারে প্রাণিখাদ্যের দোকান দিই। কিছুদিন পর বন্ধু রাকিবের পরামর্শে টার্কির খামার গড়ে তুলি। এখন বুঝতে পারছি, টার্কি পালন বেশ লাভজনক ব্যবসা। কারণ একটি টার্কির ওজন হয় ৭-৮ কেজি। প্রতি কেজি মাংসের দাম ৬শ’ টাকায় এবং একদিনের টার্কির বাচ্চা বিক্রি হয় ৩-৪শ’ টাকায়।

বদরগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক জানান, টার্কি পালন বেশ লাভজনক। দিন দিন এ উপজেলায় টার্কির খামার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮    
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।