ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমলা নয়, বাজার সয়লাব কিন্নোতে!

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
কমলা নয়, বাজার সয়লাব কিন্নোতে! বাদামতলীর ফলের পাইকারি বাজারে কিন্নো বোঝাই ভ্যান গাড়ি/ ছবি: সুমন শেখ

বাদামতলী বাজার থেকে ফিরে: প্রচণ্ড যানজট ঠেলে যখন বাদামতলীর ফলের পাইকারি বাজারে পৌঁছানো গেল, তখনও বাজার জমেনি। সকাল সাড়ে ৭টা বেজে গেলেও সূর্যের সঙ্গে দেখা নেই কোনো ক্রেতার। কিছু পাইকারি বিক্রেতা পসরা সাজিয়েছেন ঠিকই, তবে খোলেননি তার ঝুড়ি। সকাল ৮টার দিকে বাজারে বাড়তে থাকে লোক সমাগম।

শীতকাল মানেই কমলার মৌসুম। বিক্রেতা ঝাপি খুলে বসলেও কমলার খুব একটা দেখা নেই।

আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এবার কমলা বাজারে নেই। ভারত-ভুটানে ফলন কম হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বাজারে যা আছে সব কিন্নো। ফলের গায়ে ইংরেজিতে লেখা kinnoo। কিন্নো দেখতে কমলার মতোই। তবে এটার স্বাদ টক-মিষ্টি। কোয়াও চ্যাপ্টা। খোসা গায়ে শক্ত হয়ে লেগে থাকে বলে মাল্টার মতো কেটে খাওয়াই আরামদায়ক।
কিন্নো ফলে দোকান সাজিয়েছেন এক বিক্রেতা/ ছবি: সুমন শেখআমদানিকারক মঈনুল ইসলাম বলেন, কমলার দাম ঝুড়ি প্রতি বেড়ে ৭ থেকে ৮শ’ টাকা। প্রতি ঝুড়িতে প্রমাণ সাইজ কমলা আসে ১৭০ থেকে ১৯০টি। গত বছর এক ঝুড়ির দাম ছিল ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ১শ’ টাকা। এবার দাম পড়ছে ২ হাজার ১শ’ টাকা থেকে ২ হাজার ৮শ’ টাকা।

খুচরা বিক্রেতা আসলাম আলী বলেন, এবারের মতো কমলার দাম আর কোনোদিন এতো বাড়েনি। কমলাও কম। এছাড়া ট্যাক্সও বেড়েছে প্রচুর। ট্রাকপ্রতি খরচ পড়ে যায় ৪-৫ লাখ টাকা। তাই প্রায় সব ফলের দামই বাড়তি।

মনিরুল ইসলাম নামে এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, শুধুমাত্র ডালিম বা আনার ছাড়া সব ফলের দামই বেশি। তবে চায়নার ফলের দাম কম।  
কমলা নয়, থরে থরে সাজানো কিন্নো/ ছবি: সুমন শেখআনার প্রতি ঝুড়িতে দাম পড়ছে ২ হাজার ৬শ’ টাকা, গত বছর ছিল ২ হাজার ৮শ’ টাকা। এক ঝুড়িতে ২০ কেজির মতো। আনার আসে ভারত থেকে। মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকার মাল্টা গত বছর ছিল ঝুড়িতে ১ হাজার ৬শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৭শ’ টাকা। এবার ২ হাজার ১শ’ টাকা থেকে ২ হাজার ২শ’ টাকা।

নাশপাতি গতবারের চেয়ে ঝুড়ি প্রতি ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা বেড়ে এবার দাঁড়িয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৩শ’ টাকা। ঝুড়িতে ৯ কেজি নাশপাতি ধরে। অস্ট্রেলিয়ান জাতের আপেল কাশ্মীর থেকে আসে। ঝুড়ি প্রতি ৩শ’ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার টাকা। আর লাল আপেল ১ হাজার ৮শ’ টাকা।

খুচরা বিক্রেতা আল ইসলাম বলেন, চায়নার ফল না এলে মানুষ খেতেই পারতোনা। চায়নার ছোট কমলাগুলো এক ঝুড়ি হাজার টাকায় কেনা, বিক্রি হাজার ৩শ’ টাকা। আপেল ৮০ টাকা কেজিতে কেনা, বিক্রি ১শ’ থেকে ১২০ টাকা। মাঝে মাঝে এরচেয়েও কমে যায়, আমদানি বাড়লে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।