ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৭
ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে ডিএনসিসির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের ছবি

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) গুলশান সেন্টার পয়েন্টে ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ড পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আনিসুল হক বলেন, মার্কেটের ধ্বংসস্তূপে ফায়ার সার্ভিস পাঁচটি গ্যাসের সিলিন্ডার পেয়েছে।

এ অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপক্ষে তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার মূল কারণ রেবিয়ে আসবে।

তদন্ত যেন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়, সেজন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি রাখার বিষয়ে সুপারিশ করবেন বলেও জানান মেয়র।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের ফলাফলের জন্য দয়া করে অপেক্ষা করুন। তদন্ত পরবর্তী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিএনসিসি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে শহরবাসীর স্বার্থরক্ষা করে যাবে। আমাদের এই আশ্বাসের ওপর আপনারা আস্থা রাখুন।

তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ডিএনসিসি’র সঙ্গে একযোগে প্রতিরোধ, মোকাবেলা এবং আগামীতে দ্বিগুণ প্রত্যয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ওপর বিশ্বাস রাখুন।  

ডিএনসিসি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশেই আছে এবং থাকবে বলেও আশ্বাস দেন মেয়র।

আগুনের ঘটনায় মেট্রো গ্রুপ (দোতলা মার্কেটকে বহুতল ভবনে রূপান্তরে টেন্ডারপ্রাপ্ত) ও সিটি কর্পোরেশনের দিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মেয়র বলেন, মেট্রো গ্রুপ কী করেছে সে বিষয়ে উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। মেট্রো গ্রুপের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আলোচনা (দোতলা ভেঙে বহুতল ভবন রূপান্তর নিয়ে) হয়েছে, তারাই বলতে পারবে। তবে ডিএনসিসি মেট্রো গ্রুপ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা সমাধান আনার জন্যই বসেছিলো।

আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অবহেলা করেছেন বলে ব্যবসায়ীদের ‍অভিযোগ নজরে আনলে আনিসুল হক বলেন, ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে অফিযোগ তো আগুন লাগানোর বিষয়ে নয়, ব্যবসায়ীরা বলছে তারা আগুন নেভাতে স্লো হয়ে গেছে। আমরা নেভানোর বিষয়ে নয়, আগুন লাগার কারণ বের করতে তদন্ত করছি।  

মেয়র বলেন, মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ২০১০ সালে এই মার্কেটের নিচতলা ও দোতলায় খালি জায়গায় মোট ৩২টি দোকান বিভিন্ন ব্যক্তিকে অস্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অস্থায়ী বরাদ্দ নিয়ে তারা স্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করে ফেলেন। শুধু তাই নয়, কাঁচা ও পাকা মার্কেটের পেছনে নিচতলায় ও দোতলায় অবৈধভাবে আরও ২৬টি দোকান নির্মাণ করা হয়। সেখানে সর্বমোট অবৈধ দোকান হয় ৯০টি। ২০১৩ সালে বুয়েট এ মার্কেটসহ ডিএনসিসির কয়েকটি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রতিবেদন দিলেও ব্যবসায়ীরা আমলে নেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭/আপডেট ২০৫৩ ঘণ্টা
এসজেএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।