ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিভবে আগুন, মোবাইলে মিলবে তথ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৫
স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিভবে আগুন, মোবাইলে মিলবে তথ্য ছবি : জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: মানুষের কোনো রকম হাতের স্পর্শ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভাবে রোবটিং এক্সটিংগুইশার। একই সঙ্গে স্পিকারের মাধ্যমে আগুন লাগার সংবাদ ছড়িয়ে দেবে যন্ত্রটি।

শুধু তাই নয়, ৫টি মোবাইল নম্বরে এসএমএস ও অডিও কলের মাধ্যমে পৌঁছে দেবে আগুন লাগার তথ্য।

‍গাজীপুর গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অটো ফায়ার ফাইটিং (এএফএফ) তৈরি করেছে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক প্রযুক্তির এই রোবটিং এক্সটিংগুইশার।

মানুষকে অগ্নিনির্বাপক সম্পর্কে সচেতন করতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপো ফর বিল্ডিং অ্যান্ড সেফটি’ প্রদর্শনী গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।

মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) এএফএফ-এর স্টলে গাজীপুর গ্রুপের সিইও তারিফ আল হায়াত খান ও এএফএফ’র চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।

রোবটিং এক্সটিংগুইশার সম্পর্কে তারিফ বলেন, বেশকিছু অগ্নি দুর্ঘটনার ভয়াবহতা অনুভাবের পর বাংলাদেশের আপামর জনতা, বিশেষ করে কমার্শিয়াল ভবন ও গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার প্রতি সচেতন হয়ে উঠেছে। এই সচেতনতার অংশ হিসেই এএফএফ নিয়ে এসেছে আগুন নেভানোর এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

তিনি বলেন, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকলেও তা মানুষ চালিত। তাই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুব বেশি। কিন্তু এএফএফ’র স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থায় কোনো মানুষের সহায়তা লাগে না। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নিভিয়ে থাকে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা খুবই কম।

এএফএফ’র চেয়ারম্যান আশরাফ জানান, রোবটিং এক্সটিংগুইশারে ড্রাই পাউডার, পানি ও কার্বনডাই অক্সাইডের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভানো হয়। একটি রোবটিং এক্সটিংগুইশার ৪শ’ থেকে ৫শ’ ফুট এরিয়া কভার করে। এটি স্থাপন করতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা।

তিনি জানান, এএফএফ’র রোবটিং পদ্ধতি ছাড়াও আছে সেমিঅটো এক্সটিংগুইশার সিস্টেম। এ পদ্ধতিতে একটি মোটরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে চিকন একটি হোস পাইপ। এই হোস পাইপের পুশ বাটনে চাপ দিলে ওয়াইফাই’র মাধ্যমে চালু হয়ে যাবে মোটর। এরপর হোস পাইপ দিয়ে পানি বের হয়ে আগুন নেভানোর কাজ করবে। এ পদ্ধতি স্থাপনে সবমিলে খরচ হবে ৮২ হাজার ৫শ’ টাকা।

আশরাফ বলেন, চুরি প্রতিরোধ করতে এএফএফ নিয়ে এসেছে ‘থিফ সিকিউরিটি’ নামে এক ধরনের প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিটি যেখানে স্থাপন করা হবে, সেই স্থানে কেউ প্রবেশ করলে মোবাইলে এসএমএস ও অডিও কল দিয়ে সংবাদ পৌঁছে দেবে। এ জন্য প্রযুক্তিটি কোন সময়ে কাজ করবে তা নির্ধারণ করে দিলেই হবে। সময় নির্ধারণের বিষয়টি ব্যবহারকারী ইচ্ছামাফিক পরিবর্তন করতে পারবেন।

উদাহরণ হিসেবে আশরাফ বলেন, ধরা যাক একটি অফিস শুক্রবার বন্ধ থাকে। এ সময় অফিসটি চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে থিফ সিকিউরিটি স্থাপন করা যেতে পারে। থিফ সিকিউরিটি স্থাপন করে ২৪ ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হলে ওই সময়ে কেউ অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করলে থিফ সিকিউরিটি মোবাইলের মাধ্যমে সংবাদ পৌঁছে দেবে। অবার কার্যকালীন দিনে ‍অফিস বন্ধের সময়ের জন্য থিফ সিকিউরিটি সচল রাখা যাবে। এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে খরচ হবে ২০ হাজার টাকা।

আশরাফ আরও জানান, এএফএফ তাপমাত্রা পরিমাপের জন্যও এক ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করেছে। টর্চ লাইফের মতো আলো জ্বালিয়ে এই প্রযুক্তিটি দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা যাবে। ‘লেজার থার্মমিটার’ নামে এ যন্ত্রটি দেখতেও টর্চ লাইটের আকৃতির।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এএসএস/এমজেএফ

** অলিম্পিয়ার সব পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড়
** অটোমেটিক স্পিংলার হেড ফেটে আগুন নেভাবে পানি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।