ঢাকা: সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে আরোপিত বিদ্যমান সংযোজন করের (মূসক) মেয়াদ আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্যতেলের মূল্য সমন্বয় সংক্রান্ত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা বিবেচনায় এনে অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৫৭ টাকা, প্রতি লিটার খোলা পাম সুপার তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৫৭ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৭৫ টাকা এবং প্রতি ০৫ (পাঁচ) লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা ৮৫২ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
২. জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে আরোপিত বিদ্যমান সংযোজন করের (মূসক) মেয়াদ আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ।
৩. বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন প্রত্যেক মাসে ৫ তারিখের মধ্যে অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী ভোজ্যতেলের মূল্য সমন্বয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাবে এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সভা করবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানসহ দেশের বিশিষ্ট ভোজ্যতেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৪
জিসিজি/এসআইএস