ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘৮০-৯০ হাজার টাকা মিলছে না পছন্দমতো পশু’

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
‘৮০-৯০ হাজার টাকা মিলছে না পছন্দমতো পশু’ হাটে চলছে কোরবানির পশু বেচাকেনা।

মৌলভীবাজার: আগামী রোববার ( ১৬ জুন) রাত পোহালেই দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। ঈদের আগে আগে জমে উঠেছে মৌলভীবাজারের স্টেডিয়ামে বসা কোরবানির পশুর হাট।

অসংখ্য দেশি-বিদেশি জাতের গরু নিয়ে সারিবদ্ধভাবে পসরা সাজিয়ে বসা হতাশ ব্যবসায়ীরা আশা ফিরে পেয়েছেন ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে।  শুরুর দিকে কোরবানির পশুর হাটে তেমন পশুর দেখা না মিললেও ঈদের দুই দিন আগে পুরোপুরি জমে উঠেছে হাট। বর্তমানে বাজার ভর্তি গরু।

শনিবার (১৫ জুন) মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে কোরবানির পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সারিবদ্ধভাবে নির্ধারিত স্থানে নিজেদের পশু নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন নানা জায়গার ব্যবসায়ীরা। গরু রাখার জায়গা প্রায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে অসংখ্য গরুর উপস্থিতিতে। হাটে সারিবদ্ধভাবে কোরবানির পশু রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছে পৌরসভা। প্রায় সব সারিতেই রয়েছে গরুর উপস্থিতি। শনিবার ক্রেতার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন ঈদের আগে দুই দিনই পশুর হাটের মূল বেচাবিক্রি হবে। তাই, শেষ সময়ে ভালো বিক্রির আশা করছেন তারা।

গরুর বাজারে বছর বিদেশি গরুর থেকে দেশি গরুর দিকে ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি বলে জানালেন বিক্রেতারা। অনেকে আবার পছন্দ করছেন শাহিওয়াল, জার্সিসহ নানা জাতের বিদেশি গরু। তবে ছোট আকারের গরুর দাম বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। এক লাখ টাকা দরের নিচে যেসব গরু রয়েছে; সেগুলোর জন্য চড়া দাম হাঁকা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে।

মোহাম্মদ লিটন নামের এক যুবক এসেছেন স্টেডিয়ামে পশুর হাট থেকে গরু কেনার উদ্দেশ্যে। বেশ কিছুক্ষণ বাজার ঘুরে দেখার পর তিনি এসে দেশি গরুর দামদর করছিলেন। তার সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, গরু মাশাল্লাহ বাজারে ভরপুর রয়েছে। নানা জাতের বিদেশি গরুও উঠেছে। বেশিরভাগই স্থানীয় খামারিদের গরু। এটা দেখে খুব ভালো লেগেছে। গরুর দামও মোটামুটি সহনীয় পর্যায়েই আছে। তবে ছোট আকারের গরু দাম বেশি চাইছেন ব্যবসায়ীরা। এটা সবসময়ই হয়। ছোট গরুর চাহিদা থাকে বেশি, দাম থাকে বেশি।

মোহাম্মদ লিটন আরও বলেন, আমার একটা গরুর জন্য বাজেট ৮০-৯০ হাজার টাকা। তবে, এই দামে পছন্দসই গরু পাচ্ছি না। ১ লাখ ২০ হাজার বাজেটে গরু মিললেও তা পছন্দ হচ্ছে না। আবার দেড় লাখ টাকা বা এর বেশি দরে ভালো এবং পছন্দমতো গরু পাওয়া যাচ্ছে।

হোসনেআরা বেগম নামে এক নারী ক্রেতা বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয় খামারিদের কাছে গরু দেখলেও পছন্দমতো গরু পাননি। তিনিও এসেছেন স্টেডিয়াম থেকে গরু কিনবেন বলে। তার বাজেট ২ লাখ টাকা থাকলেও তিনি মনমতো গরু পাচ্ছেন না বলে জানান।

গরু বিক্রেতা সুলতান মিয়া নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সিকরাইল গ্রাম থেকে নিজের পালিত চারটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। সুলতান মিয়া বলেন, বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি ভালো। এরমধ্যে আমার দুইটা গরু বিক্রিও করে ফেলেছি। আশা করি, বাকি দুইটা বিক্রি করে ফেলতে পারব।

সদর উপজেলার শাহবন্দর এলাকা থেকে রফিক মিয়া ছয়টি গরু তুলেছেন এবারের হাটে। তিনি বলেন, বাজারে এসে শুরুর দিকে ক্রেতা না পেয়ে হতাশ ছিলাম। বাজার শুরুর দিকে একদমই ক্রেতা ছিল না। তবে গত দুইদিন ধরে চিত্র বদলে গেছে। বাজারে এখন অসংখ্য ক্রেতারা আসছেন। আশা করি বাকি দুইদিনে গরুগুলো বিক্রি করতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।