ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিজিএমইএ ভোট: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রত্যয়ে ইশতেহার ঘোষণা সম্মিলিত পরিষদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
বিজিএমইএ ভোট: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রত্যয়ে ইশতেহার ঘোষণা সম্মিলিত পরিষদের ছবি: রাজীন চৌধুরী

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৪-২০২৬ মেয়াদে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৯ মার্চ। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে সম্মিলিত পরিষদ।

এসএম মান্নান কচির নেতৃত্বাধীন প্যানেলের এই ইশতেহারে তৈরি পোশাকশিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সম্মিলিত পরিষদের নেতা ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ইশতেহার ঘোষণা করেন। এ সময় এসএম মান্নান কচিসহ প্যানেলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

ইশতেহার অনুষ্ঠানে বলা হয়, আগামীতে পরিবর্তিত সময়ে ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ আসবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে প্রবীণ-তরুণ উদ্যোক্তাদের সঙ্গে করে এইচএম কোড জটিলতা দূর ও ব্যবসা সহজ করা; রাজস্ব সম্পর্কিত জটিলতা দূর; শুল্ক-আয়কর-ভ্যাট নগদ সহায়তা সংক্রান্ত সহায়তা দূর; ব্যাংক ও আর্থিক সেবা খাত সংক্রান্ত সমস্যা দূর; টেকসই শিল্পায়ন সমৃদ্ধ অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করা; পণ্য ও বাজার বহুমুখি করা; অংশীদারমূলক বিজিএমইএ গঠন; সবুজ বিপ্লবের সমৃদ্ধি সংক্রান্ত উদ্যোগ গ্রহণ এবং পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

এ লক্ষ্যে ১৫টি সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের লক্ষ্য ঘোষণা করা হয় অনুষ্ঠানে।

১) তৈরি পোশাকশিল্পের মূল চালিকাশক্তি হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলো। এসব কারখানার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাবান্ধব শিল্পনীতির জন্য প্রস্তাবনা প্রণীত হবে।

২) এইচএসকোড সম্পর্কিত বিরাজমান সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য প্রস্তাবনা ও রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে অগ্রাধিকার  ভিত্তিতে গ্যাস সংকটের বিষয়ে সমস্যার সমাধানে কাজ করা হবে।  

৩) রাজস্ব বোর্ড অর্থাৎ এনবিআর সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

৪) পোশাক শিল্পের উন্নয়নে নীতি সহায়তা যেমন- ননকটন পোশাক রপ্তানি উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনা, সোলার সিস্টেম স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির শুল্কমুক্ত আমদানিসহ বেশ কিছু উদ্যোগের প্রস্তাবনা উত্থাপিত হবে।

৫) রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার দিনে সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসা, ডলারের সংক্রান্ত বিষয় সুরাহার প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।  

৬) ইনোভেশন, ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

৭) পণ্য বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কাজ করা হবে। এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সুবিধা অব্যাহত রাখতে অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসিসহ কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।  

৮)  বিজিএমইএ সদস্যদের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।  

৯) কার্বন নিঃসরণ হ্রাসকরণসহ পোশাকশিল্পে যে বিপ্লব ঘটেছে তার পরবর্তী উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

১০) পোশাকশিল্পের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হবে।

১১) চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারণাকে সামনে রেখে কারখানাগুলোর মধ্যম শ্রেণির ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।

১২) স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার কারণে ভবিষ্যতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে বিনিয়োগ ব্যবসায় টিকে থাকার জন্য জরুরি। তাই ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের জন্য প্রণোদনা ও নীতি সহায়তার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হবে।  

১৩) সার্কুলারিটি তথা রিসাইক্লিং প্রমোশনের নিমিত্তে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।  

১৪) ইউনিফায়েড কোড অব কন্ট্রাক্ট বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।  

১৫) আরএসসির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
জেডএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।