ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা: এ কে আজাদ 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা: এ কে আজাদ 

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে আজাদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এমনই একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত হবে। থাকবে শিক্ষা শেষে চাকরির নিশ্চয়তা।

আমাদের দুর্ভাগ্য, বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কিন্তু উনার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০০৯ সালে যখন শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তখন বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকায়। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা ছিল ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। সেটা এখন ২৮ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে উন্নীত হয়েছে। ১০০ স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কাজ হাতে নিয়েছেন। ইতোমধ্যে ১০টির কাজ শেষ হয়েছে। এগুলোয় শিল্প স্থাপন শুরু হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটা শেষ হলে আরও ৪০ বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে যোগ হবে।

এ কে আজাদ বলেন, আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু শুধু ইট-সুরকির সেতু নয়। এর মধ্যে রয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আবেগ, ভালোবাসা ও প্রতিজ্ঞা। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তিনি এটা বাস্তবায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পুরো কৃতিত্বই শেখ হাসিনার। প্রথমবারের মতো দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়কপথে যোগাযোগ স্থাপিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে পদ্মা সেতু। এক দিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। শুধু সেতু নয়, এক্সপ্রেসওয়ে, সংযোগ সড়ক এবং রেলপথের ডাকে গ্রামীণ জনপদে সাড়া পড়েছে। আপনার (শেখ হাসিনা) নামে রচিত হচ্ছে গান ও কবিতা। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে, কর্মসংস্থান বাড়ছে। সময় আসছে যখন দক্ষিণের মানুষের ঢাকায় আসার দরকার কমে যাবে।

যাদের ঘর ছিল না তাদের কথাও শেখ হাসিনা ভেবেছেন মন্তব্য করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার মানুষের ঠিকানা হয়েছে। মহৎ হৃদয় ছাড়া এমন মানবিক বিপ্লব সম্ভব ছিল না। আজ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে স্থাপিত হচ্ছে শিল্পাঞ্চল, ইপিজেড, বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অনেক কারখানা ও বাণিজ্য কেন্দ্র। ব্যবসায়ীদের অনেক দিনের দাবি ছিল একটি আন্তর্জাতিক মানের গভীর সমুদ্রবন্দর। এদিক দিয়ে আমরা প্রতিবেশীর থেকে পিছিয়ে ছিলাম। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেই দাবি পূরণ করেছেন। মাতারবাড়ীতে যে গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ হবে ২০২৬ সালে।  

তখন আমরা কম খরচ ও কম সময়ে আমদানি-রপ্তানি করতে পারব। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশকে জ্বালানি খাতে প্রথম সারির দেশে পরিণত করবে। অচিরেই এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ চলছে। দেশের সব উপজেলায় ৫৬০টি অপরূপ মডেল মসজিদ তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০০ মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কেয়ামত পর্যন্ত এসব মসজিদ থাকবে। মানুষ এসব মসজিদে বসে দুই হাত তুলে দোয়া করবে।

কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার চরণ তুলে ধরে এ কে আজাদ বলেন, ‘এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর’। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। উনার নেতৃত্বে পেয়েছি অসাধারণ কিছু অর্জন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর, ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং চলমান স্মার্ট বাংলাদেশের উত্তরণ সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি। ব্যবসায়ীরা এখন নিরাপদে ব্যবসা করতে পারছেন। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসেছে। স্থিতিশীলতাই সমৃদ্ধি ও শান্তি আনে। এজন্যই বলি শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার। তাই শিল্পী কবীর সুমনের জনপ্রিয় গানের ভাষায় বলতে চাই- ‘প্রথমত আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত আমি তোমাকে চাই, ভীষণ অসম্ভবেও আমি তোমাকে চাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।