ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘আমাদের উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
‘আমাদের উদ্দেশ্য পুঁজিবাজারকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া’

ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বাজার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে এবং যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে৷ আমাদের একটি মাত্র উদ্দেশ্য আর সেটি হলো পুঁজিবাজারকে একটি ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এজন্য আপনাদের নিঃশর্ত সহযোগিতা চাই।

আমরা যারা এখানে আছি আমাদের প্রত্যেকেরই একটি সামাজিক মর্যাদা আছে। এ সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করে আমরা ব্যক্তি স্বার্থে এ প্রতিষ্ঠানে কোনো কিছু করার চেষ্টা করবো না।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন৷

তিনি বলেন, আমি ব্রোকারেজ হাউজের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। তাই ব্রোকারেজ হাউজ এবং ডিএসই এই দুই প্রান্তের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে। আমরা সব সমস্যা একসঙ্গে বসে সমাধান করতে চাই। আমরা কারো দোষ খুঁজতে বা সমালোচনা করতে চাই না। আমার যে দায়িত্ব রয়েছে সেটুকু সঠিকভাবে পালন করতে পারছি কিনা সেটাই হলো আমার মূল লক্ষ্য। পুঁজিবাজারের প্রধান স্টেকহোল্ডার হলো ব্রোকারেজ হাউজ৷ সে ব্রোকারেজ হাউজের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হলেন আপনারা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা। আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন৷

তিনি আরও বলেন, উদীয়মান অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ৷ অর্থনৈতিক বিবেচনায় দেশের পুঁজিবাজার এমন থাকতে পারে না৷ সব পক্ষের অংশীদারিত্বমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে এবং যথোপযুক্ত উদ্যোগ নিতে হবে৷ অর্থনীতির সঙ্গে মিল রেখে দেশের পুঁজিবাজারের পরিবর্তন আনতে হবে৷ এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার৷ সবার সহযোগিতায় আমরা বাজারের উন্নয়ন করতে চাই৷ অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, পুঁজিবাজার পিছিয়ে থাকতে পারে না৷

অধ্যাপক হাসান বাবু বলেন, বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশের ফলে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রেক্ষাপট ও গতিপ্রকৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সে পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিএসইও অবকাঠামোগতভাবে এবং প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যাবে৷ কোনো দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না৷ এজন্য আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি গঠনমূলক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বসবো৷ আমরা আশাবাদী গঠনমূলক কর্ম পরিকল্পনাই বয়ে আনবে আগামীদিনের সফলতা৷

সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বাজারে বর্তমানে বেশকিছু সমস্যা কাজ করছে। এরমধ্যে এক্সপোজার লিমিট, মাল্টিপল ট্যাক্স, ফ্লোর প্রাইস, ভালো ভালো কোম্পানি বাজারে না আসা ইত্যাদি বিষয় অন্যতম। আমরা আশা করি, বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সব রেগুলোটর সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের সহযোগিতা সবসময় আপনাদের সঙ্গে থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এফসিএ৷ সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, এফসিএস।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৩
এসএমএকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।