ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

`বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
`বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে'

ঢাকা: বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)  বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে দূতাবাসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।  

ইকোনমিক অ্যান্ড কমার্শিয়াল কাউন্সেলর সং ইয়াং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

তারা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাব্য সুযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় দেশ কিভাবে আরও সহযোগিতার মাধ্যমে বিশেষ করে, পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে আরও বেশি পারস্পরিক বাণিজ্য সুবিধা অর্জন করতে পারে সেটি নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

এছাড়া বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি) এবং শীর্ষস্থানীয় চীনা ফ্যাশন ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে পোশাক এবং টেক্সটাইল শিল্প বিষয়ক জ্ঞান এবং দক্ষতা শেয়ার করার বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন।

এ সময় বিজিএমইএ সভাপতি ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পখাত হতে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প তার ঘোষিত রূপকল্প অনুযায়ী ভ্যালু চেইনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কটন থেকে নন-কটন যাওয়ার মাধ্যমে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং হাই-ভ্যালুড পণ্যগুলোর দিকে ক্রমবর্ধমানভাবে মনোনিবেশ করছে। এতে করে বাংলাদেশের পোশাকখাতে ম্যানমেইড ফাইবার-ভিত্তিক ফেব্রিক্স, কেমিক্যালস এবং অন্যান্য কাঁচামালের চাহিদা বাড়বে এবং চীন এই সমস্ত কাঁচামালগুলোর একটি বড় উৎস এবং বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পারে। এছাড়া চীন শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি রফতানিকারকও বটে।

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে, চীন বাংলাদেশের পোশাক রফতানির জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল বাজার। সুতরাং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার এবং অংশীদারিত্ব জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে, যা উভয় দেশকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করতে পারে। সেই সঙ্গে চীনের বাজারে পোশাক রফতানির জন্য বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি চীন ও হংকংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যের সুবিধার্থে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা প্রাপ্তিতে আরও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চীন সরকারকে অনুরোধ করেন এবং এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি চীনা রাষ্ট্রদূতকে জানান ২০২৩ সালের ২১ মার্চ হংকংয়ে বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট অনুষ্ঠিত হবে। ফারুক হাসান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য কনস্যুলার সেবা সহজতর করতে, বিশেষ করে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে হংকং সফর এবং সম্মেলনে যোগদানের জন্য ভিসা পেতে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন।

সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ-এর পরিচালক তানভীর আহমেদ এবং বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন মিশন সেলের চেয়ারম্যান শামস মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এমকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।